প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ, ম্যাচসেরা সৌম্য
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৮ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ৪৩ রানের। ২০০৬ সালে খুলনায় এই জয় পেয়েছিল টাইগাররা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয়ে লিড নিল বাংলাদেশআজ (সোমবার) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া ২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ ওভারে ১৫২ রানে থামে জিম্বাবুয়ে। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাশ ও সৌম্য সরকারের ঝড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের শুরুটা ছিল দারুণ। মুস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম ওভারের প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি মারেন টিনাশে কামুনহুকামউই। কিন্তু পরের ওভারে আরেক ওপেনার ব্রেন্ডন টেইলরকে (১) হারায় তারা। সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত করে তাকে বিদায় করেন শফিউল ইসলাম। এরপর সুস্থ হয়ে একাদশে ফেরা ক্রেইগ আরভিন (৮) ও অভিষিক্ত ওয়েসলি মাধেভেরেও (১) সুবিধা করে উঠতে পারেননি। আরভিন শিকার হন মুস্তাফিজের।
পরে ওপেনার টিনাশে কামুনহুকামউই (২৮) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে দ্রুত ফিরে যান ওয়েসলি মাধেভেরে (৪)। ২০ বছর বয়সী স্পিনার নিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিকার বানান অধিনায়ক শন উইলিয়ামস (২০) এবং টিনোটেন্ডা মুতোমবোজিকে (২)। এর আগে চাপের মুখে ফেরেন সিকান্দার রাজা (১০)।
পরে উইকেটরক্ষক রিচমন্ড মুতুমবামি ও ডোনাল্ড তিরিপানো স্কোরটা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে দুজনই ১৩ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন। শেষ উইকেট হিসেবে কার্ল মাম্বাকে (২৫) নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ইতি টানেন মোস্তাফিজ। ব্যক্তিগত ২ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্রিস এমপোফু।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। সমান উইকেট নিয়ে আমিনুল ৩ ওভারে খরচ করেছেন ৩৪ রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তুলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তাদের ৯২ রানের ভয়ঙ্কর উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মাধেভেরে। ৩৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম।
সতীর্থকে হারালেও ৩১ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন লিটন। তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তার ইনিংস। ৩৯ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করে নিয়ে রাজার বলে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন তিনি।
তামিম-লিটন ফিরলেও বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন সৌম্য ও মুশফিকুর রহিম। ৮ বলে ২ ছক্কায় ১৭ রান করে ক্রিস এমপোফুর বলে সাজঘরে ফেরেন মুশি। তবে ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান সৌম্য। ইনিংসের শেষ পযর্ন্ত ব্যাট করে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। তারমধ্যে ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে দলীয় ডাবল সেঞ্চুরি এনে দেন তিনি।
৩২ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে।
আজকের খেলায় প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পেয়েছেন সৌম্য সরকার।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৯