'মুজিববর্ষের কোনো আয়োজন বাতিল করা হয়নি, পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে'
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মুজিববর্ষ উদযাপনে কোনো আয়োজন বাতিল করা হয়নি; আমন্ত্রিত অতিথিদের আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তাই ১৭ মার্চের অনুষ্ঠান হবে ভিন্ন আঙ্গিকে।
আজ (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এটি স্থগিত করেছেন। কোনো এক বিশেষ সময়ে এ সফর আবার চূড়ান্ত হবে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ জানিয়েছেন, বিদেশি মেহমানরা কেউই মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান স্থগিত করেননি। এখানে রাজনীতির কিছু নেই। জনস্বার্থেই পুরো আয়োজন পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
আজ ধানমন্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
এর আগে, গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ যেন ঝুঁকির মুখে না পড়ে, তাই মুজিববর্ষ উদযাপনে সব কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সমস্যার কারণে আমন্ত্রিত অতিথিরাও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না।
তিনি জানান, জনগণের কল্যাণ আগে; উদযাপন পরে। তাই আনুষ্ঠানিকতা করা হবে জনগণকে ঝুঁকিমুক্ত রেখে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কাছে জনগণের কল্যাণ সবচেয়ে বড়। আমরা উদযাপন করব, কিন্তু উদযাপনটা একটু ভিন্নভাবে হবে। লোকসমাগম যাতে কম হয়, সেদিকে দৃষ্টি রেখে উদযাপন করব। আমরা চাই, কোনোভাবে জনগণ যেন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। যেহেতু বিশ্বব্যাপী এটা ছড়িয়েছে, সেখানে দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আমরা বিশাল আকারে করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। যেখানে লাখ লাখ মানুষ জমায়েত হবে। কিন্তু আমরা জমায়েতগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। এমনকি ২৬ মার্চ শিশুদের যে অনুষ্ঠান আমরা করি, সেটাও স্থগিত করে দিয়েছি; যাতে কোনোভাবে এটা মানুষের ক্ষতি করতে না পারে। তবে আমরা অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো। পুষ্পমাল্য অর্পণ ও টুঙ্গিপাড়ায় শিশুদের অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে করব।’#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১০