বাংলাদেশে শর্তসাপেক্ষে মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে: ধর্ম মন্ত্রণালয়
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i79643-বাংলাদেশে_শর্তসাপেক্ষে_মসজিদে_নামাজ_আদায়_করা_যাবে_ধর্ম_মন্ত্রণালয়
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্ত সাপেক্ষে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) জোহর থেকে বাংলাদেশের সব মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা যাবে। আজ (বুধবার) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
মে ০৬, ২০২০ ১৬:১৫ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশে শর্তসাপেক্ষে মসজিদে নামাজ আদায় করা যাবে: ধর্ম মন্ত্রণালয়

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্ত সাপেক্ষে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) জোহর থেকে বাংলাদেশের সব মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা যাবে। আজ (বুধবার) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার জোহরের ওয়াক্ত থেকে স্বাস্থ্যবিধি ও দূরত্ব রক্ষার নিয়মসহ বেশ কিছু শর্ত মেনে সুস্থ ব্যক্তিরা দেশের মসজিদগুলোতে জামাতে নামাজ পড়তে পারবেন। শর্তগুলো হচ্ছে:

১। মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

২। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

৩। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪। কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে দাঁড়াতে হবে। অর্থাৎ, তিন ফুট পর পর দাঁড়াতে হবে।

৫। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

৬। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

৭। সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৮। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৯। মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।

১০। উল্লিখিত শর্ত পালন সাপেক্ষে প্রত্যেক মসজিদে সর্বোচ্চ পাঁচ জন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ইতেকাফ এর জন্য অবস্থান করতে পারবেন।

১১। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

১২। খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ৬ এপ্রিল দেশের সব মসজিদে বাইরে থেকে মুসল্লি ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। বলা হয়, ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মসজিদের খাদেমরা মিলে পাঁচজনের জামাত হবে। আর জুমার নামাজে থাকতে পারবেন মসজিদসংশ্লিষ্ট ১০ জন। এরপর ২৩ এপ্রিল আরেক আদেশে রমজানে মসজিদে তারাবির জামাতে সর্বোচ্চ ১২ জনের অংশগ্রহণের সীমা ঠিক করে দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেখানেও বাইরের কারও যোগ দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।

তবে, আজ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ওলামাগণও পবিত্র রমজানুল মোবারক মাসের গুরুত্ব বিবেচনা করে মসজিদে নামাজ আদায়ের শর্ত শিথিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর জোর দাবি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “সম্প্রতি সরকার সার্বিক বিবেচনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বন্ধ ঘোষণার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। তৎপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাবলি অনুসরণপূর্বক ৭ মে, ২০২০ তারিখ জোহরের ওয়াক্ত থেকে সুস্থ্ মুসল্লিদের মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায়ের সুযোগ প্রদানের পরামর্শ প্রদান করেছে।”#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।