‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে পশ্চিমা কূটনীতিকদের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য’
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i79715-বাংলাদেশের_গণমাধ্যমের_স্বাধীনতা_নিয়ে_পশ্চিমা_কূটনীতিকদের_মন্তব্য_অগ্রহণযোগ্য’
ঢাকায় অবস্থানরত পশ্চিমা দেশের সাত রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক, হতাশামূলক ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
মে ০৯, ২০২০ ০৬:১২ Asia/Dhaka
  • ড. এ কে আবদুল মোমেন
    ড. এ কে আবদুল মোমেন

ঢাকায় অবস্থানরত পশ্চিমা দেশের সাত রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক, হতাশামূলক ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে তিনি বলেছেন, আমরা দেশকে আমাদের মতো করে চালাচ্ছি। আমাদের কী করতে হবে তা আমরা জানি। আমি খুবই বিরক্ত। এটা খুবই হতাশাজনক। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মোটেই ভালো কিছু নয়। তাঁদের কিছু বলার থাকলে কূটনৈতিক নিয়ম মেনে আমাদের জানাতে পারতেন।

ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ সময় কাটানোর কালে তিনি সেখানে কূটনীতিকদের কাছ থেকে এ জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি কখনও দেখেননি।’

তিনি আরো বলেন, ‘কূটনীতিকরা তৈরি পোশাক রপ্তানির আদেশ বাতিল, বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের সুরক্ষা ও সহায়তা এবং কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য তাদের চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে কিছু বললে বাংলাদেশ খুশি হতো।’

কোভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বকে যখন হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে তখন নির্দিষ্ট বিষয়ে একই মন্তব্য করার জন্য অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ড. মোমেন।

কয়েকটি গণমাধ্যমে তাদের এমন মন্তব্য কাভারেজ দেওয়ার বিষয়ে নারাজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের চর্চা অন্যান্য দেশে দেখা যায় না।

এগুলোর পেছনে তাঁদের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না এমন প্রশ্ন তোলে ড. মোমেন তাঁদের কূটনৈতিক মানদণ্ড থেকে স্পষ্টতই বিচ্যুত হওয়ার বিষয়টি মনে করিয়ে দেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় অবস্থানরত পশ্চিমা দেশের সাত রাষ্ট্রদূত কোভিড-১৯ এর বর্তমান সংকটে নির্ভরযোগ্য ও প্রকৃত ঘটনা-ভিত্তিক তথ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে তাদের মতামত দেন। রাষ্ট্রদূতরা তাদের টুইট বার্তায়ও একই অনুভূতি শেয়ার করেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার টুইট বার্তায় বলেন, ‘সর্বত্র জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের দেওয়া নির্ভরযোগ্য এবং সত্য-ভিত্তিক তথ্যের প্রবেশাধিকার অত্যন্ত জরুরি। চলমান কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যেও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বহাল রাখা অপরিহার্য যাতে সাংবাদিকদের কণ্ঠস্বর সংযত না হয়।’

অন্যদিকে, নিজের টু্ইট বার্তা বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন লেখেন, ‘সর্বত্র জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের দেয়া নির্ভরযোগ্য এবং সত্য-ভিত্তিক তথ্যের প্রবেশাধিকার অত্যান্ত  জরুরি। সি-১৯ সংকটের মধ্যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমর্থন করা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং গণমাধ্যম যেন তার কাজ করে যেতে পারে।’#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।