করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট কার্যকর নয়: বিএসএমএমইউ ভিসি
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i80742-করোনা_শনাক্তে_গণস্বাস্থ্য_কেন্দ্রের_কিট_কার্যকর_নয়_বিএসএমএমইউ_ভিসি
দীর্ঘ দেড় মাস অপেক্ষার পর অবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ আজ জানিয়েছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র‍্যাপিড ডট ব্লট কিট করোনা শনাক্তে কার্যকর নয়।
(last modified 2025-11-11T14:44:42+00:00 )
জুন ১৭, ২০২০ ১৫:০২ Asia/Dhaka
  • গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট
    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট

দীর্ঘ দেড় মাস অপেক্ষার পর অবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ আজ জানিয়েছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র‍্যাপিড ডট ব্লট কিট করোনা শনাক্তে কার্যকর নয়।

বিএসএমএমইউ'র অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বাধীন পারফরম্যান্স কমিটি গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে। কমিটি আজ সকালে বিএসএমএমইউ'র ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

পরে আজ বেলা একটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ ভিসি জানান, কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্যের কিটে মাত্র ১১-৪০ শতাংশ পর্যন্ত শনাক্ত করা গেছে। এ কারণে কমিটি গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা শনাক্তে কার্যকর নয় বলে রিপোর্ট দিয়েছে।

অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া

এদিকে, গণস্বাস্থ্যের কিটের প্রকল্পের কোঅর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তারা (বিএসএমএমইউ) বলছে গণস্বাস্থ্যের কিট রোগ শনাক্তে কার্যকর নয়, করোনা শনাক্তে কিট কার্যকর নয়। আমাদের অ্যান্টিবডি কিটের কাজ করোনা শনাক্ত করা নয়। এটা হচ্ছে অ্যান্টিবডি কিট, এই কিটের কাজ কী সেটা পৃথিবীর যেকোনও বইয়ে লেখা আছে।’

ডা. মুহিব আরও বলেনতারা যে মন্তব্যগুলো করেছেন সেগুলো আমরা দেখি তার পরেই বিস্তারিত জানাতে পারবো। এখনও বিএসএমএমইউ থেকে কোনও রিপোর্ট পাইনি। তাদের রিপোর্ট পেলে আমরা মতামত জানাবো। রিপোর্ট তো বৈজ্ঞানিক বিষয়, সেটা হাতে পেয়ে আমরা কথা বলবো। এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি, তা আপনাদের এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক  চলছে। গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারা কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউকে চিঠি দেয়। গত ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। পরে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র‍্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। বিএসএমএমইউর পরীক্ষায়ও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

১৩ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র‍্যাপিড ডট ব্লট কিটের পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা ‘নেগেটিভ’ আসে। পরে পিসিআর পরীক্ষাতেও তাঁর করোনা নেগেটিভ এসেছে। তিনি এখন করোনামুক্ত। তবে এখন তিনি নিউমোনিয়ার জটিলতায় ভুগছেন। তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের কেবিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরীন হক এবং ছেলে বারীশ হাসান চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্ত্রী শিরীন হক বর্তমানে করোনামুক্ত।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।