বাংলাদেশে ঈদুল আজহার নামাজ ঈদগাহে নয়, মসজিদে: কোলাকুলি বারণ
-
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ
বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আজহার দিন ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে। তবে ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের পরস্পরকে কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ঈদুল আজহা প্রসঙ্গে আজ (রোববার) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে একই করোনার কারণে গত ঈদুল ফিতরে একইভাবে ঈদগাহ বা উন্মুক্ত ময়দানের পরিবর্তে মসজিদে নামাজ আদায় করতে হয়েছিল।
এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে কোরবানির পশু বিক্রির অনলাইন প্লাটফর্ম ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাটের’ যাত্রা শুরু হয়েছে গতকাল থেকে।
সরকারের আইসিটি ডিভিশন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি ডিজিটাল গরুর হাট থেকে কেবল গরু কেনাই নয়, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জবাই করে মাংস বাসায় পৌঁছেও দেয়া হবে। আমরা এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করলাম। এতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। অনেক ভুলত্রুটি হতে পারে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যত্রতত্র গরু বেচাকেনা বন্ধ এবং একটা সিস্টেমে আনা। ফলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশু কেনাবেচা করা যাবে। এছাড়া আধুনিক উপায়ে পশু কোরবানিও দেয়া যাবে। কোরবানিকৃত পশুর রক্ত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও সুষ্ঠুভাবে করা যাবে।
তিনি বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনাবেচা ও কোরবানি দেয়া হলে পশুর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, যেগুলো আমরা ফেলে দিই, সেগুলো রফতানির জন্য সংরক্ষণ করা যাবে। চামড়া সংরক্ষণ আগের চেয়ে সহজ হবে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।