সিলেটে নির্যাতনে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এসআইসহ ৪ পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i83805-সিলেটে_নির্যাতনে_এক_যুবকের_মৃত্যুর_ঘটনায়_এসআইসহ_৪_পুলিশ_সাময়িক_বরখাস্ত
সিলেট মহানগরে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
অক্টোবর ১২, ২০২০ ১৯:৩৬ Asia/Dhaka
  • সিলেটে নির্যাতনে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এসআইসহ ৪ পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত

সিলেট মহানগরে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সিলেট মহানগরে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, রায়হানের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িত যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান।  তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের  নির্যাতনে রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে রোববার বিকেলে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের আখালিয়া এলাকায় স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে ঘটনাটি তদন্তের আশ্বাস দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় গতরাতে  দিকে সিলেট  কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়,  প্রতিদিনের মতো গত শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে রায়হান আহমদ নিজ কর্মস্থল নগরীর স্টেডিয়াম মার্কেটের ডা. গোলাম কিবরিয়া ও ডা. শান্তা রাণীর চেম্বারে যান। পরদিন রোববার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৩৩ মিনিটে একটি  মোবাইল নম্বর থেকে রায়হানের মা সালমা বেগমের  মোবাইলে  কল দিলে সেটি রিসিভ করেন রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহ।

এ সময় রায়হান আর্তনাদ করে বলেন, তিনি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আছেন। তাকে বাঁচাতে দ্রুত টাকা নিয়ে বন্দর ফাঁড়িতে যেতে বলেন রায়হান। এ কথা শুনে রায়হানের চাচা ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে রায়হান কোথায় জানতে চাইলে দায়িত্বরত একজন পুলিশ বলেন, সে ঘুমিয়ে গেছে। আর যে পুলিশ রায়হানকে ধরে নিয়ে এসেছেন তিনিও চলে গেছেন। এ সময় হাবিবুল্লাহকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফাঁড়িতে আসার কথা বলেন ওই পুলিশ।

পুলিশের কথামতো হাবিুল্লাহ আবারও সকাল পৌনে ১০টার দিকে ফাঁড়িতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ জানান, রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর রায়হানের চাচা ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রায়হানকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান। এ সময় হাবিবুল্লাহ পরিবারের অন্য সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনকে খবর দিলে তারা গিয়ে ওসমানীর মর্গে রায়হানের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ দেখতে পান। এজাহারে মামলার বাদী উল্লেখ করেন, আমার স্বামীকে কে বা কারা বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে পুলিশি হেফাজতে রেখে হাত-পায়ে আঘাত করে এবং হাতের নখ উপড়ে ফেলে। পুলিশ ফাঁড়িতে রাতভর নির্যাতনের ফলে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন।#

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/বাবুল আখতার/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।