বায়ান্নর রক্তস্নাত চেতনা ও আত্মত্যাগ ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন: রিজভী
(last modified Sun, 21 Feb 2021 04:43:13 GMT )
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১ ১০:৪৩ Asia/Dhaka
  • কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপি নেতাদের ফুলেল শ্রদ্ধা
    কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপি নেতাদের ফুলেল শ্রদ্ধা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বায়ান্নর রক্তস্নাত চেতনা ও আত্মত্যাগ ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এবং বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের পেছনেই রয়েছে অধিকার হারানোর বেদনা। আর, সে বেদনা থেকেই (হয়েছে) অধিকার প্রতিষ্ঠার রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম।

আজ (রোববার) সকালে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলের পক্ষ থেকে বায়ান্নর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী (সময়ে) আপনারা দেখেছেন  স্বাধীনতার মূল যে স্পিরিট (চেতনা), সেই গণতন্ত্রকে ভুলুণ্ঠিত  করা হয়েছে একদলীয় শাসনের মাধ্যমে সব দল বন্ধ করে, সব গণমাধ্যম বন্ধ করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই গণতন্ত্রের মুক্তধারা বইয়ে দিয়েছে। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানুষের কণ্ঠের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাঁরই সহধর্মিণী খালেদা জিয়া ৯ বছর সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছে কারণ তা না করলে দিনের ভোট রাতে করা যেত না। একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন, মাফিয়াতন্ত্র, ক্যাসিনোতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যেত না। সেগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলেই আজ তিন বছর খালেদা জিয়া বন্দি।’

তিনি বলেন, ‘বায়ান্নর যে রক্তস্নাত চেতনা, সেদিনের যে আত্মত্যাগ, সেটা আসলে ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। সেটা আজও আমাদের উদ্বুদ্ধ করে, আমাদের সাহসী করে। আজও আমাদের যে অধিকার হারানো, গণতন্ত্র হারানো, কথা বলার স্বাধীনতা হারানো— সেটা প্রতিষ্ঠার জন্য জোটবদ্ধভাবে সংগ্রাম করছি, কথা বলছি, আমরা মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার, গুম ও খুনকে বরণ করে নিয়েও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন,‘বায়ান্নর চেতনা আমাদের চেতনাকে শাণিত করেছে, ধারালো করেছে বলেই আজও আমরা দৈত্যের ন্যায় একটা কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিএনপিসহ বিরোধী দল, বিরোধীমত এক কাতারে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করছি। এই চেতনার উৎসভূমি হচ্ছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন।’   

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহীদদের সমাধিতে ফুল দিয়ে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রিজভী আহমদের নেতৃত্বে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।