ঈদের আগেই চীনা টিকা পেতে আশাবাদী বাংলাদেশ, করোনা মৃত্যু আরও ৬১
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i91130-ঈদের_আগেই_চীনা_টিকা_পেতে_আশাবাদী_বাংলাদেশ_করোনা_মৃত্যু_আরও_৬১
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ঈদের আগে টিকা দেওয়ার জন্য চীন সরকার কাজ শুরু করেছে। ঢাকার চীনা রাষ্ট্রদূতও এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে আশাবাদী।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
মে ০৪, ২০২১ ১৭:২৭ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ঈদের আগে টিকা দেওয়ার জন্য চীন সরকার কাজ শুরু করেছে। ঢাকার চীনা রাষ্ট্রদূতও এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে আশাবাদী।

আজ (মঙ্গলবার) গণমাধ্যমকে ড. মোমেন জানান, চীনে মে দিবসের পাঁচদিনব্যাপী ছুটি চলছে। ছুটির কারণে সেখানে সব কিছু বন্ধ রয়েছে। টিকা পেতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আলোচনা চলছে বলে তিনি জানান।

এর আগে সোমবার স্বাস্থমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, ১০ মে’র মধ্যে চীন থেকে টিকা আসবে।

চীন আগেই চেয়েছিল বাংলাদেশে তাদের টিকার ট্রায়াল দিতে। গত বছর চীনের সে প্রস্তাব গ্রহণ করলে আমরা এতদিনে অনেকখানি এগিয়ে থাকতাম এবং টিকা নিয়ে সঙ্কট দিতো না। এমনটি মনে করেন দেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌফিক হোসেন।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৬১

এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬১ জনের মৃত্যর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে এযাবৎ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭০৫ জনে।

আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,  একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯১৪ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ জনে।

এর আগে সোমবার (৩ মে) দেশে করোনায় ৬৫ জন মারা যান, আর নতুন করে শনাক্ত হয় ১ হাজার ৭৩৯ জন।

চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত

অপরদিকে,  বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরী চট্টগ্রামে করোনার যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে।  

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের একটি গবেষণা টিম তাদের একমাস গবেষণা শেষে এই ফলাফল জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন করে এ গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়। গবেষণা কাজে বিভিন্ন বয়সের আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া ওই আক্রান্ত রোগীদের পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।

প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা ১০টি নমুনা পরীক্ষা করে ছয়টিতে করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যের ধরনের (ই.১.১.৭) এবং তিনটিতে দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন (ই.১.৩৫১)সনাক্ত করেছেন। তবে যে করোনার ধরনটি (ই.১.৬১৭) বর্তমানে ভারতে তীব্রভাবে সংক্রমণ করে চলছে, চট্টগ্রামের  কোনো নমুনাতেই তার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

এই বিষয়ে গবেষণা টিমের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও ভ্যাটেরাইন সাইন্সের শিক্ষক ড. ইফতেখারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান,  সাত জন শিক্ষকের দেড় মাস গবেষণা শেষে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। তবে আরও বেশি নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করলে প্রকৃত চিত্রটি স্পষ্ট হত। যদিও বিষয়টি অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল বলে জানান তরুণ এই গবেষক।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে করোনার দ্বিতীয় চট্টগ্রামে গত এপ্রিল মাসে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত এপ্রিলে এখানে মোট শনাক্ত ছিল ৫ হাজার ২৮৪ জন। আর মারা যায় ১৩৬ জন। তবে গত দুইদিনে শনাক্তের সংখ্যা একটু কমলেও  মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এখানে করোনায় আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৫