আরও কিছুদিন দূরপাল্লা গণপরিবহণ ও সীমান্ত বন্ধ রাখার পক্ষে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
-
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার ভারতীয় ধরন খুব আক্রমণাত্মক। তবে, তা দেশে খুব বেশি ছড়ায়নি। দূরপাল্লার গণপরিবহণ ও সীমান্ত আরও কিছুদিন বন্ধ রাখার সুপারিশ করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আজ (সোমবার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভারতের অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সীমান্ত আরও কিছু দিন বন্ধ রাখতে হবে। দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ ও রেল যোগাযোগ বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়াতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার ঈদে যদিও লকডাউন ছিল, কিন্তু তারপরও সবাই আনন্দের সঙ্গে কেনাকাটা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ ছিল যে যেখানে আছেন সেখানেই ঈদ করেন। অনেকে মেনেছেন, অনেকে মানেননি। ফেরিতে গাদাগাদি করে বাড়ি গেছেন। যদিও আমরা চাইনি। নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়ে বাড়ি গেছেন, আমি বলি নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন নাড়ি যেন ছিড়ে না যায়! কারণ বাড়িতে অনেকেই বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন।
আমরা মনে করি আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ, ট্রেন যেন বন্ধই থাকে। আমরা প্রস্তাব করবো। তিনি বলেন, বর্ডার বন্ধ আছে, আগামীতেও বন্ধ থাকবে, যে পর্যন্ত না ভারতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে না আসে।’
করোনার টিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে তিন কোটি টিকার চুক্তি রয়েছে। কিন্তু আমরা ৭০ হাজার পেয়েছি। অবশিষ্ট টিকা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এটা দুঃখজনক। ফলে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে আমরা চিন্তিত।’
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘আমরা আপাতত অন্য দেশ থেকে টিকা কিনে আনার জন্য চেষ্টা করছি। এ ছাড়া উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরও পাঁচ থেকে ছয় মাস লাগতে পারে। কাজেই যত দ্রুত সম্ভব, বিদেশ থেকে কিনে আনার চেষ্টা করছি।’
আগামী ২৫ মে থেকে চীনের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। #
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।