রূপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে বিপুল প্রাণহানি: ফখরুল ও জিএম কাদেরের শোক
-
লাশের সারি
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, রূপগঞ্জের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না।
আজ (শুক্রবার) এক শোক বার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'বর্তমান সরকারের আমলে মিল-কলকারখানা, বাসা, হোটেল, মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড-গ্যাস বিস্ফোরণসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এসব ঘটনায় প্রাণ দিচ্ছেন নিরীহ মানুষ। অথচ এসব দুর্ঘটনা রোধে সরকার কোনো কার্যকর ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।

কল-কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নেই দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শ্রমিক কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তা নাই। দুর্ঘটনা পর সরকার তদন্ত কমিটি করে, বিভিন্ন আশ্বাস দেয়। কিন্তু তা আর আলোর মুখ দেখে না। মর্মান্তিক এসব দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না।'
তিনি আরও বলেন, 'যদি লকডাউনে মিল কারখানা বন্ধ থাকতো, তাহলে এতো মানুষকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হত না। অন্যদিকে কর্মস্থলে অনিরাপদ পরিবেশ ও উদাসীনতার জন্যই এতগুলো জীবন ঝরে পড়ল।'
সঠিক তদন্তপূর্বক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল। এছাড়াও তিনি নিহত-আহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আহতদের দ্রুত সুচিকিৎসা জোর দাবিও জানান।

এদিকে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের রূপগঞ্জে খাদ্যপণ্যের কারখানায় আগুনে পুড়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার এক শোক বার্তায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আগুনে অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। চলমান মহামারির মধ্যে আগুনে পুড়ে একসঙ্গে এতো মানুষের নির্মম মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এমন দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নিহতদের পরিবারকে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান জাপা চেয়ারম্যান।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।