'ইসরাইলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব বন্ধে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিন'
https://parstoday.ir/bn/news/event-i139802-'ইসরাইলি_আগ্রাসন_ও_দখলদারিত্ব_বন্ধে_বাস্তবমুখী_পদক্ষেপ_নিন'
ইসলামী জনশাসনতান্ত্রিক ইরান বলেছে, ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি শাসকদের আগ্রাসন ও অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ২১, ২০২৪ ১১:৪৮ Asia/Dhaka
  • ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি
    ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি

ইসলামী জনশাসনতান্ত্রিক ইরান বলেছে, ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি শাসকদের আগ্রাসন ও অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে।

গতকাল (শনিবার) এক বিবৃতিতে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস-এর (আইসিজে)  জারি করা সর্বশেষ মতামতের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি শাসকচক্রের বেআইনি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের "গভীর উদ্বেগ" প্রতিফলিত হয়েছে এই মতামতে। 

তিনি আরও বলেছেন যে শত শত আন্তর্জাতিক প্রস্তাব ও ইশতেহারে এ পর্যন্ত নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অবস্থান ও অধিকার আদায়ের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। তাই এসবের ভিত্তিতে ইসরাইলকে তার অপরাধমূলক কাজের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।

শুক্রবার, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বলেছে "অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের অব্যাহত উপস্থিতি বেআইনি"।  ''ইসরাইল যত দ্রুত সম্ভব এ উপস্থিতি শেষ করতে দায়বদ্ধ" বলে আদালতের বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব আল-কুদস দখল করে।  ফিলিস্তিনিরা ভবিষ্যত স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য  এ অঞ্চলগুলোকে মুক্ত করতে চায়।  

কানয়ানি আবারও "অধিকৃত ফিলিস্তিনের বর্তমান অবৈধ পরিস্থিতির অবসান ঘটানোর সবচেয়ে কার্যকর সমাধান" হিসাবে বহিরাগত ইহুদিবাদীদের বাদ দিয়ে মুসলিম, খ্রিস্টান এবং ইহুদিসহ ফিলিস্তিনের সমস্ত আদি বা আসল বাসিন্দাদের নিয়ে একটি গণভোট আয়োজনের বিষয়ে ইরানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ইসরাইলের অস্তিত্ব গড়ে ওঠে ১৯১৭ সালে উপনিবেশবাদী ব্রিটেনের ব্যালফোর নামক ঘোষণার আলোকে এবং বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকে ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনে অভিবাসন করতে উৎসাহ যুগিয়ে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল তার আনুষ্ঠানিক অস্তিত্ব ঘোষণা করে। সেই থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার এবং গোটা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডগুলোকে দখলে নেয়ার  নানা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। 

বিশ্বের কয়েকটি দেশ ইসলামী জনশাসনতান্ত্রিক ইরানের দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইসরাইলি উপনিবেশবাদী শাসন বিলুপ্ত করার ও ইহুদিদেরকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জোরালো দাবি জানাচ্ছে। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।