কোটা সংস্কার আন্দোলন:
৪-৬ আগস্টে নিহত ৩২৬, ঢাকায় ২৮৬ মামলা, আসামি সাড়ে চার লাখ
বাংলাদেশ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবির আন্দোলন ও পরবর্তী সহিংসতায় ৪ থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত ৩ দিনে অন্তত ৩২৬ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী ও সমর্থক, পুলিশের সদস্য, শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতা-কর্মী বেশি।
এই ৩ দিনে পুলিশের গুলিতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়। আবার পুলিশকেও মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা ও গুলিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু হয়েছে। আবার বিক্ষোভকারী ও প্রতিপক্ষের হামলা এবং অগ্নিসংযোগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সব মিলিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন, পরবর্তী বিক্ষোভ ও সরকারের পতনের পর সহিংসতায় ১৬ জুলাই থেকে গতকাল রোববার ১১ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ৫৮০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ২১৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। ৩২৬ জন নিহত হন ৪ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে। বাকি ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় ৭ থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট (সোমবার) শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। তিনি এখন ভারতে রয়েছেন। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলন: রাজধানীতে ২৮৬ মামলা, আসামি সাড়ে চার লাখ
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সংঘাতের ঘটনায় ২৩ দিনে ঢাকায় অন্তত ২৮৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় নাম উল্লেখ করে আসামির সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। আর অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে সাড়ে চার লাখ। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ১২ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলাগুলো হয়। এসব মামলায় অন্তত ৩ হাজার ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কতজন এখন পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।#
পার্সটুডে/জিএআর/১২