জামায়াত–শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ (বুধবার) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, "যেহেতু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই এবং যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত নহে; সেহেতু সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত এ বিভাগের গত ১ আগস্টের প্রজ্ঞাপন এস, আর, ও. নং, ২৮১/আইন/২০২৪ বাতিল করিল। এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ হইতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনের তালিকাভুক্তি বাতিল করিল।" এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের বিষয়ে দলটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তা প্রত্যাহার করেছে সরকার। এখন নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াই শুরু করা হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ভিন্ন দিকে নিতে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।"
ছাত্র-জনতার আন্দোলন যখন তুঙ্গে, পতনের দ্বারপ্রান্তে যখন শেখ হাসিনার সরকার; ঠিক সেসময় ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আওয়ামী লীগ সরকার।
আদালতের রায়ে নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। জামায়াতের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএআর/২৮