খবর নয় কল্পনা
ট্রাম্পকে হত্যার ইরানি প্রচেষ্টার নিউ ইয়র্ক টাইমসীয় সমাচার
পার্সটুডে- মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলোর একটি প্রচারণা পদ্ধতি হচ্ছে, প্রকৃত তথ্য-প্রমাণ ও দলিল উপস্থাপন না করে স্রেফ নিজের স্বার্থে একাধারে ঢোল পিটিয়ে যাওয়া এবং জনমতকে উস্কানি দেয়া।
মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম করে এরকম- "Trump Is Briefed on Iranian Assassination Threats" (ট্রাম্পকে ইরানিদের হত্যা প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে)। গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার টিমের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ইরান সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। পার্সটুডে জানাচ্ছে, এই খবর সুস্পষ্টভাবে একথা প্রমাণ করে যে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গোলযোগ সৃষ্টি করার পেছনে ইরানের নামকে জড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে একটি সংঘবদ্ধ প্রচারণা শুরু হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে ইরান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে বলে দাবি করা হলেও এর পক্ষে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ বা দলিল উপস্থাপন করা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ ধরনের খবরের ক্রেতা থাকে অনেক বেশি; আর মার্কিন নির্বাচন নিয়ে জল্পনা কল্পনা বাড়িয়ে দিয়ে এ নির্বাচনকে আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, তা পড়লে পাঠকের মনে হবে, ইরান এমন একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে যার ফলে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্বই হুমকির সম্মুখীন। অথচ এই অভিযোগের পক্ষে সামান্যতম কোনো তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরতে পারেনি মার্কিন দৈনিকটি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার হত্যা প্রচেষ্টা হয়েছে বলে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীগুলো দাবি করেছে। ওইসব প্রচেষ্টার সঙ্গে ইরানের কথিত হুমকির কোনো যোগসাজশও প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল ও ইউক্রেনের জন্য যে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র পাঠানো হয়েছে সে ব্যাপারে জনমত যাতে ফুঁসে উঠতে না পারে সেজন্যই ইরানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রচার করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ ইস্যুগুলো থেকে জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে সরিয়ে রাখাও এ ধরনের প্রচারণার অন্যতম উদ্দেশ্য। তবে সার্বিকভাবে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির জন্য সহায়ক তো হবেই না উল্টো এর ফলে মার্কিন গণমাধ্যম পাঠকের কাছে আরো বেশি অগ্রণযোগ্য হয়ে পড়বে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২৯