ইরানের শিপিং লাইন্সের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় ইইউ
ইরানের সঙ্গে ইউরোপের আচরণের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ ইরানের শিপিং লাইন্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিকল্পনা করেছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ ইরানের শিপিং লাইন্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিকল্পনা করেছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি।
তিনি বলেছেন, ইইউ’র এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে ইরানের সঙ্গে তাদের আচরণের কোনো আইনগত, যুক্তিসঙ্গত বা নৈতিক ভিত্তি নেই।
আরাকচি নিজের অফিসিয়াল এক্স পেজে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ইরান রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ইইউ।
তিনি বলেন, একই অজুহাতের ওপর ভিত্তি করে গত মাসে ইরান এয়ারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপ। তিনি আরো বলেন, ইইউ ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ‘বিমান যাত্রীদের নির্বিচারে টার্গেট’ করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক্স পোস্টে আরো বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার উদ্ভট অভিযোগ উত্থাপন করে ইরানের শিপিং লাইন্সের বিরুদ্ধে যদি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করাই হয় তাহলে তারা দৃশ্যত যা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে বাস্তবেই তা কার্যকর হবে।
এর আগে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল শনিবার এক রিপোর্টে দাবি করে যে, ইইউ ইরানের শিপিং লাইন্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরাকচি বলেছেন, ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের মৌলিক নীতিমালার ভিত্তিতে তা হবে নৌচলাচলের স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর ফল উল্টো হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে পাশ্চাত্য অভিযোগ করে আসছে যে,ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনসহ অন্যান্য অস্ত্র রাশিয়াকে সরবরাহ করছে। তবে ইরান বারবার এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।# পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ১৮