ডেইলি টেলিগ্রাফের রিপোর্ট
সিরিয়ায় আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে 'শক্তিশালী' করেছে আমেরিকা
-
টেলিগ্রাফের একটি ছবিতে পালমিরায় একজন আরসিএ যোদ্ধা দেখা যাচ্ছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে আমেরিকা শক্তিশালী করেছিল। এই গোষ্ঠীকে ওয়াশিংটন অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে আসাদ-বিরোধী তাণ্ডবে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুত করে তোলে।
ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ গতকাল (শুক্রবার) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন আগে থেকেই রেভোলিউশনারি কমান্ডো আর্মি বা আরসিএ নামে এই গোষ্ঠীর তাণ্ডব অভিযানের কথা জানত। আমেরিকাই এই বাহিনীকে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে হামলার জন্য জোরালো প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলেছিল যার মাধ্যমে আসাদ সরকারের পতন হতে পারে।
সিরিয়ায় সরকার পতনের পর ডেইলি টেলিগ্রাফ প্রথম সিরিয়ার ঘটনাবলী আমেরিকা আগেই জানতো বলে প্রকাশ করল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরসিএ যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে ব্রিটেন এবং আমেরিকা। গত ৮ ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদের পতনের আগে তাদেরকে আমেরিকার স্পেশাল ফোর্সের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে “এখনই তোমাদের সময়”।
আরসিএ কমান্ডার বাশার আল-মাশাদানি জানিয়েছেন, ৮ ডিসেম্বরের কয়েক সপ্তাহ আগে তাদের অভিযানের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং তাদের সমস্ত শীর্ষ পর্যায়ের কমান্ডারকে মার্কিন ঘাঁটি আল-তানফে আমেরিকার সেনা কমান্ডাররা ব্রিফ করেন।
সিরিয়ার পালমিরা শহরের উপকণ্ঠ থেকে মাশাদানি টেলিগ্রাফকে বলেন, “মার্কিনিরা তাদেরকে বলেননি কিভাবে এসব ঘটবে। শুধু বলা হয়েছে যে, সবকিছু বদলে যাওয়ার কাছাকাছি। এটাই তোমাদের সুযোগ। হয় আসাদের পতন হবে অথবা তোমাদের পতন হবে। কিন্তু তারা বলেননি কখন এবং কোথায়। তারা শুধু বলেছেন প্রস্তুত থাকো।”
আরসিএ হচ্ছে সাবেক সিরিয়ান আরব আর্মি বা এসএএ থেকে বের হয়ে যাওয়া একটি গ্রুপ যাদের সদর দপ্তর আল-তানফ এলাকায়। এটি হচ্ছে সিরিয়া, ইরাক ও জর্দান সীমান্তে অবস্থিত। ওই এলাকায় মার্কিন সেনাদের একটি ঘাঁটি রয়েছে।
ডেইলি টেলিগ্রাফ বলছে, আমেরিকা আরসিএ সদস্যদেরকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্রের যোগান দেয় এবং প্রতি মাসে ৪০০ ডলার বেতন দেয়। সিরিয়ার সরকার পতনের পর এই গোষ্ঠী দেশটির সামরিক অবস্থানের পাঁচ ভাগের এক ভাগ দখল করেছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/এমএআর/২১