মিয়ানমারের চিন রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি বিদ্রোহীদের
https://parstoday.ir/bn/news/event-i145188-মিয়ানমারের_চিন_রাজ্য_নিয়ন্ত্রণে_নেওয়ার_দাবি_বিদ্রোহীদের
মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের চিন রাজ্যের ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে দেশটির সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত জাতিগত চিন ও রাখাইন বিদ্রোহীরা। ওই অঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী চিন ব্রাদারহুড গতকাল (সোমবার) দাবি করেছে, মিনদাত ও কানপেটলেট শহর দুটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় চিন রাজ্যের ৮৫ শতাংশই জান্তার হাতছাড়া হয়ে গেছে।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ ১৮:০০ Asia/Dhaka
  • মিয়ানমারের চিন রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি বিদ্রোহীদের

মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের চিন রাজ্যের ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে দেশটির সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত জাতিগত চিন ও রাখাইন বিদ্রোহীরা। ওই অঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী চিন ব্রাদারহুড গতকাল (সোমবার) দাবি করেছে, মিনদাত ও কানপেটলেট শহর দুটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় চিন রাজ্যের ৮৫ শতাংশই জান্তার হাতছাড়া হয়ে গেছে।

চিন ব্রাদারহুডের মুখপাত্র ইয়াও ম্যাং ইরাবতীকে জানান, তারা মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চল জান্তার কাছ থেকে মুক্ত করেছেন। এখন বিদ্রোহীরা উত্তরাঞ্চলের ফালাম শহরে জান্তার সর্বশেষ অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, রাজধানী হাক্কা, ফালাম, তেদিম ও থানটালাং শহরে জান্তার চলাচল সীমিত হয়ে গেছে। এর বাইরে পালেতাওয়া, মাতুপি, কানপেটলেট, মিনদাত মুক্ত হয়েছে। কানপেটলেট ও মিনদাত থেকে গত রোববার সকালে ১৩ জন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্ত করা হয়েছে।

জান্তাবিরোধী চিন ব্রাদারহুড নামের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স, স্যাগাইন অঞ্চলের গ্যাংগাও জেলার ইয়াও আর্মি ও মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা রয়েছেন। এই গোষ্ঠীগুলো একযোগে চার মাস আগে থেকে জান্তার বিরুদ্ধে মিনদাত, ফালাম ও কানপেটলেট মুক্ত করার অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করে। অপারেশন সিবি নাম দিয়ে তারা ৯ নভেম্বর থেকে অভিযান শুরু করে।

চিন ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে গত শুক্রবার জানানো হয়, তাদের আক্রমণের মুখে ১৬৮ জান্তা সেনা ও পুলিশ তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এ নিয়ে ব্যাপক অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৩০০ জান্তা তাদের হাতে বন্দী হয়েছে।

এদিকে, গত শুক্রবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আঞ্চলিক সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে রাজ্যটির জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এর মধ্য দিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোনো আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ হারায় ক্ষমতাসীন জান্তা।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ড রয়েছে ১৪টি। এসব কমান্ডের অধীন নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে সামরিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর আগে গত আগস্টে চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্যের রাজধানী লাশিওতে অবস্থিত উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা। এটি ছিল বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়া প্রথম কোনো আঞ্চলিক সেনা কমান্ড।

গত বছরের নভেম্বরে রাখাইনে জান্তা বাহিনীর ঘাঁটি ও অবস্থান নিশানা করে বড় পরিসরে হামলা শুরু করে আরাকান আর্মি। এরপর থেকে রাজ্যটির ১৭টি শহরের ১২টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিদ্রোহীরা। অন্য শহরগুলোতে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। এ ছাড়া পাশের শান রাজ্যের সীমান্তবর্তী শহর পালেতোয়ার নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে আরাকান আর্মি।

সর্বশেষ ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সীমান্তলাগোয়া শহর মংডুর নিয়ন্ত্রণ নেয় আরাকান আর্মি। এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত পুরোপুরি আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। এখন শুধু রাজ্যটির রাজধানী সিত্তে জান্তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।#

পার্সটুডে/এমএআর/২৪