হোয়াইট হাউসের কাছে বিমান-হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা: ষড়যন্ত্র দেখছেন ট্রাম্প
(last modified Thu, 30 Jan 2025 12:20:20 GMT )
জানুয়ারি ৩০, ২০২৫ ১৮:২০ Asia/Dhaka
  • পোটোম্যাক নদীতে উদ্ধার উৎপরতা চলছে
    পোটোম্যাক নদীতে উদ্ধার উৎপরতা চলছে

ওয়াশিংটনে যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের ঘটনাটিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির রিগ্যান ওয়াশিংটন জাতীয় বিমানবন্দরের কাছে মাঝ আকাশে বিমানের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিমানটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে পোটোম্যাক নদীতে পড়ে। সামরিক হেলিকপ্টারটিও বিধ্বস্ত হয়ে বিমানটির কাছাকাছি নদীতে পড়ে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানে ৬৪ জন এবং কপ্টারে চার যাত্রী ছিলেন এমন তথ্য এসেছে।

এই দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথে ট্রাম্প লিখেছেন, "একেবারে সঠিক পথে এগোচ্ছিল বিমানটি। বিমানবন্দরে নামার রাস্তা ধরেই এগোচ্ছিল। অনেকটা সময় ধরে সটান বিমানটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল হেলিকপ্টারটিই। রাতের আকাশ পরিষ্কার ছিল। জ্বলজ্বল করছিল বিমানের আলো। হেলিকপ্টারটি উপরে উঠে গেল না কেন, নীচেই বা নেমে গেল না কেন? বিমানটিকে দেখতে পাচ্ছে কি না জানতে চেয়ে কেন কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে হেলিকপ্টারটিকে নির্দেশ দেয়া হলো না?"

হোয়াইট হাউজ থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে এমন ঘটনায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার কথায়, "খুব খারাপ অবস্থা। দেখে মনে হচ্ছে এটা আটকানো যেত। ঠিক হয়নি।" সেনার কন্ট্রোল টাওয়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প।

৬৪ জন যাত্রী নিয়ে ওয়াশিংটনের রোনাল্ড রিগান বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে চপারে ধাক্কা খায় আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ৫৩৪২ বিমান। চপারের সঙ্গে বিমানটিও পোটোম্যাক নদীতে ভেঙে পড়েছে। উল্টো দিক থেকে সেনার চপারটি একই উচ্চতায় চলে এসেছিল বলেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চপারে পাইলট-সহ তিন জন ছিলেন। তাদের প্রশিক্ষণ চলছিল। এ পর্যন্ত ৩০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে নিশ্চিত করেছে পুলিশ কর্মকর্তা। বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।#

পার্সটুডে/এমএআর/৩০