১৩ মাসে সীমান্তে ২৬০০ বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারত সরকার
https://parstoday.ir/bn/news/event-i147996-১৩_মাসে_সীমান্তে_২৬০০_বাংলাদেশিকে_আটক_করেছে_ভারত_সরকার
ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে গত ১৩ মাসে ২৬০১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।  
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
মার্চ ১৩, ২০২৫ ১৭:৫১ Asia/Dhaka
  • নিত্যানন্দ রাই
    নিত্যানন্দ রাই

ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে গত ১৩ মাসে ২৬০১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ২৬০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে অনুপ্রবেশের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারী মাসে ১৭৬ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, কারণ সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারা দেওয়ার সময় অবৈধ কার্যকলাপ রুখতে সজাগ ছিল।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতারির ঘটনা অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি। সে মাসে বিএসএফের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ৩৩১ জন।

আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহে গ্রেফতারির সংখ্যা তুলনায় কম। মাত্র ২১৪। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সীমান্তে ১৭৬ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০২৪ এর মে মাসে এই সংখ্যা ছিল সর্বনিম্ন, মাত্র ৩২। এপ্রিলে ৯১, মার্চে ১১৮, ফেব্রুয়ারিতে ১২৪ এবং গত বছরের জানুয়ারিতে ১৩৮ ছিল।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'উন্নত নজরদারি, বর্ধিত জনবল এবং প্রযুক্তির সাহায্যে  ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা গেছে। সীমান্ত সুরক্ষাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে হ্যান্ড-হেল্ড থার্মাল ইমেজার (HHTI), নাইট ভিশন ডিভাইস (NVD), UAVs, CCTV/PTZ ক্যামেরা, IR সেন্সর, এবং ধুবরি (আসাম) তে   বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CIBMS) পাইলট ব্যবহার করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, অপারেশনাল পর্যায়ে ক্রমাগত টহল, নাকা  চেকিং এবং স্থানীয় পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে যৌথ অভিযান চলছে সীমান্তে। সীমান্ত এলাকাগুলো ফ্লাডলাইট এবং সোলার লাইট ব্যবহার করে আলোকিত করা হয়েছে। নদীতীরবর্তী এলাকাগুলিতে নৌকা এবং ভাসমান বর্ডার আউট পোস্ট (বিওপি) ব্যবহার করে সুরক্ষিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা নেটওয়ার্কগুলোকেও টাউটদের ট্র্যাক করার জন্য শক্তিশালী করা হয়েছে এবং সংবেদনশীল অঞ্চলে সীমান্ত বেড়া উন্নত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, স্থানীয় মিটিং, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন, ব্যাপক টহলদারি এবং বিএসএফ-এর নেতৃত্বে মানব পাচার বিরোধী ইউনিটসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা হয়েছে। যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা-১৯৭৫ অনুযায়ী বিএসএফ বিভিন্ন স্তরে বিজিবির সাথে সম্পৃক্ততা রেখে চলছে।

২০১১ সালে স্বাক্ষরিত একটি সমন্বিত বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (সিবিএমপি), বিএসএফ-বিজিবি নোডাল অফিসারদের মধ্যে বৈঠকের সুবিধা করে দিয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।#

পার্সটুডে/এমএআর/১৩