কর্ণাটকে গো-হত্যা নিষেধাজ্ঞা আইন
ভারতের একাধিক রাজ্যে ঈদুল আযহায় গবাদি পশু কুরবানিতে বিধিনিষেধ
ভারতের কর্ণাটকের পশুপালন মন্ত্রী প্রভু বি চৌহান রাজ্যের জনগণকে ঈদুল আযহায় গবাদি পশু কুরবানি না করতে বলেছেন। যারা আইন না মেনে কুরবানি দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ব্যবস্থা এড়াতে হলে আইন মেনে চলুন, ঈদে গবাদি পশু জবাই করবেন না।
মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, কর্ণাটকে গো-হত্যা নিষেধাজ্ঞা আইন ইতোমধ্যেই কার্যকর রয়েছে। এটা সবাইকে মেনে চলতে হবে। মন্ত্রী পশুপালন বিভাগ এবং পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের রাজ্যের বাইরে থেকে গরু এবং গরুর গোশতের বেআইনি চলাচলের উপর নজর রাখতে এবং গরু জবাই প্রতিরোধে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পশুপালন মন্ত্রী প্রভু বি চৌহান আরও বলেন, সাধারণত বকরিদ উৎসবে কুরবানি দেওয়ার একটা প্রথা আছে, যার জন্য গরু, ষাঁড়, বাছুর এবং উটও ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, রাজ্যে গো-হত্যার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে বলে পুলিশ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসকদের ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে যে কোনও কারণেই যেন গরু জবাই করা না হয়।
রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপির আনা নয়া আইনে গরু জবাইয়ের অপরাধে ৩/৭ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরওয়েকার রাজ্য পুলিশের ডিজি রজনীশ শেঠকে এক চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে বকরিদের দিনে যাতে গরু জবাই না করা হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, উত্তরাখণ্ড রাজ্যে গোটা হরিদ্বার জেলাকে 'জবাই-মুক্ত অঞ্চল' ঘোষণা করার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট হরিদ্বারে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কসাইখানায় কুরবানির অনুমতি দিয়েছে।
২০২১ সালের মার্চ মাসে, হরিদ্বারের সমস্ত এলাকাকে কসাইখানামুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কুম্ভমেলাকে (হিন্দু ধর্মীয় উৎসব) কেন্দ্র করে সরকার ওই নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময় হরিদ্বার জেলার বিজেপি বিধায়করা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতকে চিঠি লিখে হরিদ্বারে পরিচালিত কসাইখানা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। এরপর, রাজ্য সরকার জেলার দু’টি পৌর কর্পোরেশন, দু’টি পৌরসভা এবং পাঁচটি নগর পঞ্চায়েতে চলমান কসাইখানাগুলোতে জারি করা ‘এনওসি’ বাতিল করে দিয়েছিল।
কিন্তু ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে আদালতে আবেদনকারীরা রাজ্য সরকারের নির্দেশনার উপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন। আবেদনে বলা হয়, ম্যাঙ্গালোরে কমপক্ষে ৯০ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে, সেজন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে ম্যাঙ্গালোরে কুরবানির অনুমতি দেওয়া হোক। এরপর প্রধান বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি এবং বিচারপতি আরসি খুলবের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন ১০ জুলাই শুধুমাত্র ম্যাঙ্গালোরে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা পশু কুরবানি দিতে পারবে। কিন্তু কেবলমাত্র স্বীকৃত কসাইখানাতেই কুরবানি করা যাবে, রাস্তাঘাটে বা পাড়া-মহল্লায় নয় বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে। #
পার্সটুডে/পার্সটুডে/এমএএইচ/বাবুল আখতার /৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।