প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাল কংগ্রেস
সোনিয়া গান্ধীকে ‘বিষকন্যা’ ও চীন-পাকিস্তানের এজেন্ট বলে মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের
ভারতে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ‘বিষকন্যা’ বলে বেনজির আক্রমণ করেছেন বিজেপি বিধায়ক বসনগৌড়া পাতিল ইয়াতনাল। একইসঙ্গে তিনি সোনিয়াকে চীন ও পাকিস্তানের এজেন্ট বলেও মন্তব্য করেছেন।
বিজেপিশাসিত কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়ে গতকাল (শুক্রবার) বিজেপি বিধায়ক বসনগৌড়া পাতিল ইয়াতনাল ওই মন্তব্য করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিষধর সাপের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি পরে অবশ্য সাফাইতে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে নয়, তিনি বিজেপি দলকে বিষধর সাপ বলতে চেয়েছেন। যে দল মুখ ছোঁয়ালেই মৃত্যু অবধারিত। এর পাল্টা হিসেবে এবার সোনিয়া গান্ধী সম্পর্কে এবার বিজেপি বিধায়ক বসনগৌড়ার বিতর্কিত মন্তব্য প্রকাশ্যে এল।
এদিকে, বিজেপি নেতার এ ধরণের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কংগ্রেস বলেছে, ‘কর্ণাটকে বিজেপি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে আছে। এমতাবস্থায় এর নেতাদের ক্ষোভ বাড়ছে। এই উন্মাদনায় বিজেপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশে অসংলগ্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্ররোচনায় কর্ণাটকে তার প্রিয় নেতা বসনগৌড়া পাতিল ইয়াতনাল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধীকে 'বিষ কন্যা' বলে অপমান করার লজ্জাজনক কাজ করেছেন।’
কংগ্রেস বলেছে, ‘সোনিয়া গান্ধীজি দেশের জন্য শহীদ হওয়া প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী। বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে অতীতেও অত্যন্ত অবমাননাকর ও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। একজন শহীদ প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে নিয়ে অশোভন শব্দের ব্যবহার এ দেশ বরদাশত করবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) অমিত শাহের নির্দেশে এবং মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাইয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় সোনিয়া গান্ধীজি সম্পর্কে যে ধরনের কথা বলা হয়েছে, কর্ণাটক ও দেশের মানুষ তার হিসাব নেবে। আমরা দাবি করছি যে প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধীজির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান।’
ওই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কংগ্রেস আরও বলেছে, ‘কর্ণাটকে বিজেপি এবং তার নেতারা মানসিক ও রাজনৈতিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। আসন্ন নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বিজেপি এখন নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে। শালীনতা এবং রাজনৈতিক শুদ্ধতাকে দূরে রেখে বিজেপি নেতা এবং মোদীজির প্রিয় বসনগৌড়া পাতিল ইয়াতনাল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে ‘বিষকন্যা’ এবং 'চীন ও পাকিস্তানের এজেন্ট' বলে অভিহিত করে বিজেপির আসল চরিত্র প্রকাশ করেছেন’ বলেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে।
ওই ইস্যুতে কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমার, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলসহ কংগ্রেসের অন্য নেতারা বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/জিএআর/২৯