পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত ৫, আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
-
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে করোনা ইস্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য সভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে ওই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে হাসপাতালে ৮০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছে আরও ৩ জন।’
মমতা বলেন, ‘করোনাভাইরাস বাড়ছে, সেজন্য লকডাউন ভাঙা যাবে না। উপায় নেই, তাই বাধ্য হয়ে মেনে নিচ্ছি। আগামী ২/৩ সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ।’এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মূলত ১১টি পরিবার করোনা আক্রান্ত বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।
তিনি চা বাগানে চলমান লকডাউন প্রসঙ্গে বলেন, ‘চা বাগানের ১৫ শতাংশ শ্রমিককে কাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। স্যানিটাইজেশন করে কাজ করতে হবে। এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’
ওই বৈঠকে বেঙ্গল রাইস মিল এসোসিয়েশনের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট আব্দুল মালেক করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, রাইসমিলগুলোকে চালানোর ক্ষেতে যেভাবে আপনি নিজে এগিয়ে এসে আমাদের শ্রমিকদের জন্য দশ হাজার মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দিয়েছেন তা অভূতপূর্ব! আপনার অবদানের জন্য রাজ্যে অর্ধেকের বেশি রাইসমিল চালু হয়ে গেছে। এই ক’দিনের মধ্যে আমরা সরকারের ঘরে কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার মেট্রিক টন চাল আমরা সরকারের গোডাউনে জমা দিতে পেরেছি।
রাইস মিল কর্মকর্তা আব্দুল মালেক এদিন বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, রাইস মিলসহ অন্য শিল্প বন্ধ হয়ে আছে কিন্তু বিদ্যুতের নির্দিষ্ট ডিম্যান্ড চার্জ আছে। চলুক আর না চলুক ২/৩ লাখ টাকা করে দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী এর জবাবে বলেন, এটা আমি কিছু করতে পারব না। কারণ সরকারের হাতে কোনও টাকাই নেই। বিদ্যুতে প্রতি বছরে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা সাবসিডি দিতে হচ্ছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/আবুসাঈদ/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।