শ্রোতাদের মতামত
নওরোজের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারতের ৩ সিনিয়র শ্রোতার ইমেইল
২১ মার্চ-২০২২ মোতাবেক ফার্সি ১ ফারভারদিন তারিখে শুরু হতে যাচ্ছে ফার্সি নববর্ষ ১৪০১ সাল। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক শ্রোতা আমাদের কাছে ইমেইল শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে ভারতের তিন সিনিয়র শ্রোতার লেখা এখানে উপস্থাপন করা হলো:
প্রিয় বন্ধুবর, রেডিও তেহরানের নিয়মিত শ্রোতা হিসেবে ফার্সি নববর্ষ নওরোজের শুভ ও মহিমান্বিত উৎসব উপলক্ষে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা পাঠালাম। ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং রঙিন উৎসবগুলোর একটি হলো নওরোজ।
নওরোজ মানে 'নতুন দিন' যা ২১ শে মার্চ বসন্তের আগমনে এবং ইরানের স্থানীয় বিষুব অনুসারে বছরের প্রথম দিন পালন করা হয়। এটি নতুন জীবন এবং উর্বরতার জন্মের আনন্দদায়ক উপলক্ষ, যা পুরোনো এবং মন্দ সব বাদ দিয়ে নতুন জীবনকে আহ্বান করে।

নওরোজের একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে যা ৩০০০ বছরেরও বেশি। নওরোজের দিন সকল মানব, তরুণ এবং বৃদ্ধ উভয়ই তাদের সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে, একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায় এবং সুন্দর পোশাকে ঐতিহ্যবাহী খাবার বিনিময় করতে জড়ো হয়। তারা অতীতের সকল শত্রুতা এবং ঝগড়া ভুলে গিয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে। স্বর্গবাসী প্রিয়জনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় ও স্মরণ করে।
ভারতে পার্সিদের একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা রয়েছে, যারা ইরান থেকে স্থানান্তরিত জরথুস্ট্রিয়ানদের বংশধর। তারা ভারতের সফলতা প্রবৃদ্ধির পথে বিরাট অবদান রেখেছে। ভারতের উন্নয়নে অসামান্য পার্সিদের উপহার দেওয়ার জন্য ভারত ইরানের কাছে সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকবে। বিখ্যাত পার্সি ব্যক্তিত্বদের মধ্যে কয়েকজন হলেন শিল্পপতি রতন টাটা এবং সাইরাস মিস্ত্রি, পরমাণু বিজ্ঞানী হোমি ভাবা, রাজনীতিবিদ ফিরোজ গান্ধী, অর্থনীতিবিদ ও স্বাধীনতা সংগ্রামী দাদাভাই নওরোজি এবং আধুনিক ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবী ও আইনজীবী ননী পালখিবালা। ভারতীয়রা নওরোজকে 'পারসি নববর্ষ' হিসেবে পালন করে। দিনটি ১৬ই আগস্ট পালিত হয় কারণ আমরা শাহেনশাহী ক্যালেন্ডার অনুসরণ করি, ইরানের বসন্ত বিষুব তারিখ থেকে ২০০ দিন পরে। এই দিনে ভক্তেরা সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে। তারা অপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং চিন্তা তাদের ঘর এবং হৃদয় থেকে পরিষ্কার করে। ফুল ও উপহার বিনিময় করে এবং নতুন পোশাক পরে একে অপরের বাড়িতে খুশির লহরা ছড়ায়। দিনটি ছুটি ও আনন্দে পূর্ণ হয়। সবার প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।
জয়ন্ত চক্রবর্তী
সিদ্ধার্থ এক্সটেনশন, নতুন দিল্লি, ভারত।

আসসালামু আলাইকুম।
সৃষ্টির অপরিহার্য ও অলঙ্ঘনীয় নিয়মে মহাকালের বিবর্তন ও পরিবর্তনে দিন-রাত, মাস-বর্ষ ও শতাব্দীর পরিক্রমা। তাঁর ওই অংশ হিসেবে আগামীকাল (২১ মার্চ) ২০২২ ইংরেজি তারিখে আমাদের দ্বার প্রান্তে পুরাতন বছরের অস্তিত্ব ভুলিয়ে দিয়ে নতুন ফার্সি বছর ১৪০১ বা 'নওরোজ' উপস্থিত হচ্ছে। নওরোজ-এর এ আনন্দঘন মুহূর্তে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের আপামর জনগণ তথা রেডিও তেহরানের পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলী, উপস্থাপক-উপস্থাপিকা ও অগণিত শ্রোতাবন্ধুকে জানাচ্ছি নওরোজ বা নববর্ষের প্রীতি ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। নববর্ষের আনন্দঘন মুহূর্তে সপ্ত রথীর সাতরঙ্গে রঙিন হোক সবার মন। বিগত বছরের চাওয়া-পাওয়ার সব ভুলে নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ ও সমৃদ্ধি। ধুয়ে মূছে যাক দুঃখ বেদনা। পূরণ হোক সকল আশা আকাঙ্ক্ষা, যোগ হোক নতুন সম্ভাবনা, বিয়োগ হোক জ্বালা যন্ত্রণা, হরণ হোক অন্তরের সকল অশুভ তিন্তা ভাবনার। এই প্রত্যাশা করে ফার্সি নওরোজের আগাম প্রীতি ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। নববর্ষ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ সুখ ও সমৃদ্ধি।
ধন্যবাদান্তে,
আব্দুস সালাম সিদ্দিক,
সভাপতি, সকাল-সন্ধ্যা রেডিও লিসেনার্স ক্লাব,
কান্দুলিয়া, বড়পেটা, আসাম, ভারত।

মহাশয়,
মনের গভীর থেকে রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠানেরর সকল কর্মকর্তা, কলাকুশলী এবং শ্রোতাবন্ধুকে জানাই ইরানি নববর্ষ- নওরোজের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। নতুন বছরের প্রতিটি মাস, প্রতিটি দিন, প্রতিটি ঘন্টা- মিনিট -সেকেন্ড যেন সকলের মনে সঞ্চারিত করে খুশির জোয়ার। শুধু প্রথম দিন নয়, বছরের প্রতিটি দিন যেন সকলের সুখে কাটে।
সকলের মন থেকে হিংসা-বিদ্বেষ পালিয়ে যাক বহুদূরে। তার জায়গায় আসুক সততা, বিশ্বাস আর ভালোবাসা। পৃথিবীতে আজ ভালোবাসার সত্যি খুব অভাব তাই রয়েছে ভালোবাসার প্রয়োজন।
সাফল্য ব্যর্থতা, আনন্দ আর বেদনা ভরা আর একটা বছর অতিক্রান্ত হল। প্রত্যেক নতুন বছর প্রত্যেক জাতির কাছে নিয়ে আসে নতুন নতুন বাধা আর অনেক চ্যালেঞ্জ। ইরানি নতুন বছর যেন সমস্ত ইরানিদের নতুন সব বাধা অতিক্রম করার সাহস ও ক্ষমতা দেয়। হ্যাপি নওরোজ।
ধন্যবাদান্তে
বিধান চন্দ্র সান্যাল
ঢাকা কলোনী, বালুরঘাট
দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।