ইরানের সামরিক শক্তি বেড়েছে শতগুণ
ইসরাইলি জেনারেল বললেন- সতর্ক অবস্থানে তেল আবিব
-
ইরানের সামরিক শক্তি বেড়েছে
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাবেক একজন সেনা কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির ওপর হামলা চালানোর ক্ষমতা ইসরাইলি বাহিনীর নেই। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সামরিক শক্তি বেড়েছে শতগুণ যার কারণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে তেল আবিব।
ইসরাইলের সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইযাক ব্রিকের বরাত দিয়ে আরবি ভাষার সংবাদপত্র রায় আল-ইয়াউম গতকাল (বুধবার) বলেছে যে, ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ২০০৯ সালে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এজন্য তারা ৪০০ কোটি ডলার বাজেট বরাদ্দ দেয়।
জেনারেল ব্রিক বলেন, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পরেও ইরানের ওপর হামলা চালানো হয়নি এই কারণে যে, ইসরাইলের সেনা কমান্ডাররা সে সময় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছান, যদি ইরানের ওপরে চালানো হামলা সফল হয় তাহলে হয়তো ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কয়েক মাস বিঘ্নিত হবে কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান যে পাল্টা হামলা চালাবে তাতে ইসরাইলের মারাত্মক ক্ষতি হবে। এজন্য ইরানের ওপরে হামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ইসরাইলের সেনা কর্মকর্তারা।
জেনারেল ব্রিক বলেন, “ইরান-বিরোধী হামলায় আমেরিকা অংশ নিলেও তাতে খুব বেশি লাভ হতো না কারণ ইরানের পাল্টা প্রতিশোধের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হতো ইসরাইল এবং ইরানি সামরিক বাহিনী হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে এই প্রতিশোধ নিতো যা আমরা কখনো ধারণা করি না, আমাদের পূর্বপুরুষেরাও ধারণা করতে পারেনি।”
ইসরাইলের সাবেক এই কমান্ডার বলেন, “২০০৯ সালে ইরানের যে সামরিক শক্তি ছিল এখন তা শতগুণ বেড়েছে, ইরান দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের ওপর হামলা চালাতে পারে। তিনি স্বীকার করেন, ইরানের এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের কৌশলগত অবকাঠামো এবং মৌলিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে সক্ষম যার কারণে ইসরাইলের মারাত্মক ধরনের ক্ষতি হবে এবং আমাদেরকে বহুবছর পেছনে ঠেলে দেবে।”#
পার্সটুডে/এসআইবি/এনএম/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।