আবারও হিরমান্দ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চাইলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i127344-আবারও_হিরমান্দ_নদীর_পানির_ন্যায্য_হিস্যা_চাইলেন_ইরানের_পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান আফগানিস্তানের সঙ্গে তার দেশের যৌথ নদী হিরমান্দের (হেলমান্দ) পানির ন্যায্য হিস্যা প্রদানের জন্য আবারও কাবুলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল (শনিবার) তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিকে টেলিফোন করে এ আহ্বান জানান।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
আগস্ট ২৭, ২০২৩ ০৯:২৩ Asia/Dhaka
  • আবারও হিরমান্দ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চাইলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান আফগানিস্তানের সঙ্গে তার দেশের যৌথ নদী হিরমান্দের (হেলমান্দ) পানির ন্যায্য হিস্যা প্রদানের জন্য আবারও কাবুলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল (শনিবার) তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিকে টেলিফোন করে এ আহ্বান জানান।

সম্প্রতি ইরানি বিশেষজ্ঞদের একটি প্রতিনিধিদল প্রথমবারের মতো হিরমান্দ নদী পরিদর্শন করেছেন। মুত্তাকির সঙ্গে ফোনালাপে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ১৯৭৩ সালে দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত পানি-বণ্টন চুক্তি অনুযায়ী ওই সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এ ধরনের সফর পানি বণ্টনের বিষয়টিকে আরো স্বচ্ছ ও জবাবদিহীমূলক করবে।

কাবুলের পশ্চিমে অবস্থিত হিন্দুকুশ পর্বতমালায় আফগানিস্তানের দীর্ঘতম নদী হিরমান্দের উৎপত্তি। নদীটি আফগানিস্তানের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের হামুন জলাভূমিতে এসে পড়েছে। হামুন জলাভূমির কৃষিকাজ হিরমান্দ নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল।কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ওই নদী থেকে ইরান সামান্যই পানি পাচ্ছে।

হিরমান্দ নদীর পানি নিয়ে এক শতাব্দিরও বেশি সময় ধরে বিতর্কের পর ১৯৭৩ সালে দু’দেশ এটির পানি-বণ্টনের ব্যাপারে একটি চুক্তি সই করেছিল যা এখনও কার্যকর রয়েছে। কিন্তু আফগান সরকার ওই চুক্তি অনুযায়ী বছরে ৮২০ মিলিয়ন কিউসেক পানি ইরানকে দিচ্ছে না।

হামুন জলাশয়ের পানির ওপর নির্ভরশীল ইরানের বিশাল এক জনগোষ্ঠী পানির অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। নদীটির উপর বাঁধ নির্মাণ করে এর পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে আফগান সরকার।এ ব্যাপারে ইরানের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হলেও তালেবান সরকার পানির স্বল্পতার জন্য অনাবৃষ্টি ও কারিগরি ত্রুটির অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে তার আফগান সমকক্ষ মুত্তাকি বলেন, তেহরানের সঙ্গে সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক চায় কাবুল। তিনি দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান বিভিন্ন ইস্যু নিরসনের লক্ষ্যে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাবুল সফরের আমন্ত্রণ জানান।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।