ইরানে ক্ষমতার মসৃণ হস্তান্তর: প্রক্রিয়াটি কেমন?
(last modified Tue, 23 Jul 2024 12:27:54 GMT )
জুলাই ২৩, ২০২৪ ১৮:২৭ Asia/Dhaka
  •  ইরানে ক্ষমতার মসৃণ হস্তান্তর: প্রক্রিয়াটি কেমন?

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে নির্বাহী শাখার প্রধানের দায়িত্ব হস্তান্তর দেশটিতে ক্ষমতার মসৃণ হস্তান্তরের একটি স্পষ্ট লক্ষণ।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারিত হওয়ার প্রথম দিন থেকেই ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রস্তুত হওয়ার জন্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে সরকার নিজেকে বাধ্য বলে মনে করে। পার্স টুডে অনুসারে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ১৪ তম সরকারের প্রধান মাসুদ পেজেসকিয়ানের ক্ষমতা গ্রহণের অনুষ্ঠান আগামী ৭ আগস্ট রোববার ইসলামি বিপ্লবের নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল খামেনেয়ীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে।

নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পর্কিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের আইন অনুসারে অভিভাবক পরিষদের মাধ্যমে নির্বাচনের বৈধতা নিশ্চিত হওয়ার পর অভিভাবক পরিষদের সদস্যদের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের পরিচয়পত্র জারি করা হয়। তারপর অভিভাবক পরিষদের সদস্যরা প্রেসিডেন্টের পরিচয় পত্রে স্বাক্ষর করেন এবং ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার অফিসে পাঠান।

সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদের ৯ ধারা অনুসারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে এবং জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রেসিডেন্টের ডিক্রি বাস্তবায়ন করা ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতার অন্যতম দায়িত্ব।

প্রেসিডেন্টের ডিক্রি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্যও একটি তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষ রয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট যদি প্রতিষ্ঠিত নীতিগুলো থেকে বিচ্যুত হন এতে তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বৈধতা হারাতে পারেন।

ডিক্রি জারির পর পরবর্তী ধাপ হল শপথ গ্রহণ যেখানে প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই ইসলামিক কাউন্সিলে উপস্থিত হতে হবে এবং অভিভাবক পরিষদের সদস্য, বিচার বিভাগের প্রধান এবং অন্যান্য সামরিক ও জাতীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ করতে হবে। সংবিধানের ১২১ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তার গৃহীত দায়িত্ব পালনে তার সমস্ত মেধা এবং যোগ্যতা ব্যবহার করার শপথ নেন এবং শেষে শপথে স্বাক্ষর করেন।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে ইসলামিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধি ছাড়াও দেশের বাইরের কয়েকজন কর্মকর্তা ও ব্যক্তিত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর সংসদের অভ্যন্তরীণ বিধিবিধান অনুযায়ী সংসদে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট দুই সপ্তাহের সময় পাবেন এবং এরপর সংসদে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে আস্থা ভোট অর্জন করতে হবে।#

পার্সটুডে/এমবিএ/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

 

ট্যাগ