গাজার জনগণকে বহিষ্কারের ষড়যন্ত্র পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য: ওআইসির মহাসচিব
ফিলিস্তিন-বিরোধী মার্কিন উপনিবেশবাদী ষড়যন্ত্র নস্যাতে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরামহীন প্রচেষ্টা
-
ইসলামী ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি
পার্স-টুডে- ফিলিস্তিনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে বিভিন্ন মুসলিম দেশসহ নানা দেশের কর্মকর্তা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন ইসলামী ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি।
আরাকচি গাজার ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের দেশের বাইরে অন্য কোথাও স্থানান্তরের মার্কিন-ইসরাইলি ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির মহাসচিব হুসাইন ইব্রাহিম ত্বাহার সঙ্গে কথা বলেছেন শনিবার সন্ধ্যায়। তিনি এই সংলাপে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনাকে এক বড় অপরাধ ও জাতিগত নির্মূল অভিযানের সমতুল্য বলে মন্তব্য করেছেন। এ ধরনের পদক্ষেপ পশ্চিম এশিয়া ও গোটা বিশ্বের শান্তি আর নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক নানা পরিণতি বয়ে আনবে বলেও তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন।
আরাকচি এ বিষয়ে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠানের এবং ফিলিস্তিনি জাতির ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে কার্যকর ও জোরালো সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানান।
এই সংলাপে ওআইসি'র মহাসচিব গাজার জনগণকে জোর করে অনত্র পাঠানোর ষড়যন্ত্রকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য ও প্রত্যাখ্যাত বলে মন্তব্য করেন এবং ওআইসি'র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।
আরাকচি একই বিষয়ে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান-এর সঙ্গে টেলিফোন সংলাপে গাজার জনগণকে জোর করে অনত্র পাঠানোর বিরুদ্ধে নানা দেশের সুদৃঢ় অবস্থানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং এই ষড়যন্ত্রকে ফিলিস্তিনে গণহত্যা অব্যাহত রাখার ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন। তিনি এই সংলাপে এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ও জোরালো সিদ্ধান্ত নেয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ওআইসি'র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সব মুসলিম দেশের সাহায্য অব্যাহত রাখা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একই বিষয়ে পাক-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ ইসহাক দারের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তিনি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ও জাতিগত নির্মূল অভিযানের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জাতির বৈধ প্রতিরোধ বিষয়ে পাকিস্তানের জনগণ ও সরকারের সহায়তার প্রশংসা করেন গাজার জনগণকে জোর করে অন্যত্র স্থানান্তরের উপনিবেশবাদী ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় মুসলিম দেশগুলোর জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
এই সংলাপে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনি জাতির ভাগ্য নির্ধারণ ও তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সহায়তা করাকে মুসলিম দেশগুলোর ও বিশ্ব-সমাজের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন। তিনি ফিলিস্তিনি জাতির ভূখণ্ড দখলের পরিকল্পনার নিন্দা জানান এবং এটিকে পরিত্যাজ্য বলে বর্ণনা করেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একই বিষয়ে মিশর ও তিউনিশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের (বদর আবদুল আতী ও আলী আননাফতি ) সঙ্গেও কথা বলেছেন টেলিফোনে। তারা সবাই ফিলিস্তিনি জাতির ভূখণ্ড দখলের পরিকল্পনার নিন্দা জানান এবং এটিকে এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেছেন যে পশ্চিম তীর ও গাজা ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ৪ ফেব্রুয়ারি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দেয়া এক সাক্ষাতে গাজার অধিবাসীদেরকে সেখান থেকে আশপাশের আরব দেশগুলোতে পাঠিয়ে দেয়ার ও সেখানে মার্কিন দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ইচ্ছার কথা ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় শুরু হয়েছে। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/০৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।