নিজেরা যে চুক্তি মানে নি সেটাকে অপব্যবহারের অধিকার ইউরোপের নেই: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-
সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি
পার্সটুডে- ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে থাকা কিছু প্রক্রিয়া সক্রিয় করার বিষয়ে তিন ইউরোপীয় দেশের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে থাকা কিছু প্রক্রিয়া সক্রিয় করার বিষয়ে তিন ইউরোপীয় দেশের তাদের কোনো অধিকার নেই। তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে না।
ইরনার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, রোববার রাতে এক টুইটে আরাকচি জানান, তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব, নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান এবং নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন- কেন ইউরোপের এই তিন আইনগত, রাজনৈতিক বা নৈতিকভাবে ২০১৫ সালের চুক্তি (পরমাণু সমঝোতা) ও নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব সক্রিয় করার কোনো অধিকার রাখে না।
আরাকচির মতে, ইউরোপের এই তিন দেশ সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ও আমেরিকার বেআইনি ও অযৌক্তিক সামরিক আগ্রাসনের প্রতি যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দিয়েছে, তা পরমাণু চুক্তির মৌলিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের প্রতিশ্রুতি না রাখার ফলে তারা আর এই চুক্তির বৈধ অংশীদার হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়, তখন ইরান প্রথমে ওই চুক্তির মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করেছে। এরপর ধাপে ধাপে ৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে ইরান চুক্তি অন্য পক্ষগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতিতে ফেরানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু ইউরোপের তিন দেশ কেবল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গই করেনি বরং যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং সাম্প্রতিক ইরানবিরোধী সামরিক হামলাতেও জড়িত ছিল।
আরাকচি বলেন, যাদের অতীত এমন তাদের সৎ উদ্দেশ্য আছে বলে দাবি করা উচিৎ নয়। যারা নিজেরাই প্রস্তাবটির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল না, তারা সেই প্রস্তাবকে অপব্যবহার করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করতে পারে না।
তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোকে ২০২০ সালের ২০ আগস্টে আমেরিকাকে দেওয়া নিজেদের পরামর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানান। যেখানে তারা বলেছিল,
নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যে বিভাজন বাড়ায় বা তার কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে— এমন যেকোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে।#
পার্সটুডে/এসএ/২১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।