ইরান কি উষ্ণমণ্ডলীয় দেশ নাকি শীতপ্রধান দেশ?
-
বৈচিত্র্যময় এবং বিস্তৃত জলবায়ুর দেশ ইরান
পার্সটুডে: ইরান একটি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় এবং বিস্তৃত জলবায়ুর দেশ। এখানে যেমন গরম অঞ্চল রয়েছে, তেমনি শীতল এলাকাও বিদ্যমান। ইরান একটি বিশাল ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত দেশ এবং এটি এমন ভৌগোলিক অঞ্চলে অবস্থিত, যা জলবায়ুর দিক থেকে খুবই বৈচিত্র্যময়।
পার্সটুডে'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের বিশাল আয়তন, উচ্চতার পার্থক্য, সমুদ্র এবং উচু পর্বতের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এই বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে ইরানকে সামগ্রিকভাবে শুধুমাত্র উষ্ণ অঞ্চল বা শুধুমাত্র শীতল অঞ্চলের দেশ বলা যায় না।
সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, ইরানের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, যেমন— বন্দর আব্বাস, চবাহার ও জাহেদান শহরগুলো, পারস্য উপসাগর ও ওমান সাগরের কাছাকাছি হওয়ার কারণে উষ্ণ ও শুষ্ক জলবায়ুর অধিকারী। এসব অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম থাকে এবং তাপমাত্রা কখনো কখনো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি হয়ে যায়। এই অঞ্চলগুলো উষ্ণ মরুভূমি জলবায়ুর উদাহরণ।
অন্যদিকে, ইরানের উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব এবং পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে। যেমন— তাবরিজ, আরদাবিল, হামেদান এবং আলবোর্জ ও জাগরোস পর্বতমালার আশেপাশের শহরগুলোতে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে যায় এবং ভারী তুষারপাত হয়। এগুলো শীতল ও পার্বত্য জলবায়ুর অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়াও, তেহরান এবং ইস্ফাহানের মতো ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোতে গ্রীষ্মকালে গরম এবং শীতকালে শীতলসহ নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু রয়েছে। এই অঞ্চলগুলি নাতিশীতোষ্ণ মহাদেশীয় জলবায়ুর অন্তর্গত এবং সারা বছর তাদের তাপমাত্রা পরিবর্তনশীল।
অতএব, ইরান একটি ব্যাপক জলবায়ুগত বৈচিত্র্যসম্পন্ন দেশ যেখানে উভয় উষ্ণ এবং শীতল অঞ্চল রয়েছে। এই বৈচিত্র্যের কারণে ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, পোশাক এবং জীবনযাত্রার ধরন ভিন্ন এবং জলবায়ুর অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য জীবনযাপন ও অভিযোজনের বিভিন্ন পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছে।
সর্বোপরি, এককথায় ইরানকে পুরোপুরি উষ্ণ কিংবা শীতল দেশ বলা যায় না। বরং এটি একটি মধ্যম থেকে গরম ও শীতল—বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর দেশ, যেখানে প্রতিটি অঞ্চলের নিজস্ব ভিন্ন বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।#
পার্সটুডে/এমএআর/২১