মিনা ট্র্যাজেডিই প্রমাণ করে সৌদি আরব হজ ব্যবস্থাপনায় অযোগ্য: ড. লারিজানি
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i19954-মিনা_ট্র্যাজেডিই_প্রমাণ_করে_সৌদি_আরব_হজ_ব্যবস্থাপনায়_অযোগ্য_ড._লারিজানি
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সংসদ স্পিকার ড. আলী লারিজানি বলেছেন, গত বছর পবিত্র হজের সময় মিনায় ভীড়ের চাপে পিষ্ট হয়ে হাজার হাজার হাজি'র প্রাণহানিই প্রমাণ করে সৌদি আরব হজ পরিচালনায় অযোগ্য। সৌদি আরবের মিনায় বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেছেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৬ ১৮:২৪ Asia/Dhaka
  • ড. লারিজানি
    ড. লারিজানি

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সংসদ স্পিকার ড. আলী লারিজানি বলেছেন, গত বছর পবিত্র হজের সময় মিনায় ভীড়ের চাপে পিষ্ট হয়ে হাজার হাজার হাজি'র প্রাণহানিই প্রমাণ করে সৌদি আরব হজ পরিচালনায় অযোগ্য। সৌদি আরবের মিনায় বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেছেন।

লারিজানি আরও বলেছেন, "আজ আমরা এমন এক সময় ঈদুল আজহা উদযাপন করছি যখন ইসলামি ইরানসহ গোটা মুসলিম বিশ্ব হাজার হাজার হাজির মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন।" তিনি আরও বলেন, এমন এক পবিত্র স্থানে হাজার হাজার হাজি প্রাণ হারিয়েছেন যে স্থানটি মুসলমানদের জন্য নিরাপদ ও প্রশান্তিময় হওয়ার কথা।

তিনি বলেন, মিনার ঘটনা সৌদি আরবের হজ কর্তৃপক্ষের অযোগ্যতা এবং দেশটির শাসকদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বড় প্রমাণ। মিনা ট্র্যাজেডির তদন্তে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং বা সত্য অনুসন্ধান কমিটি গঠনে চেষ্টা জোরদার করতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক আদালতে মিনা ট্র্যাজেডির বিচারের বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে নিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ইরান ঘোষণা করেছে, ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহার দিন ভীড়ের চাপে পিষ্ট হয়ে বিভিন্ন দেশের প্রায় সাত হাজার হাজি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৬৫ জন ইরানি হাজিও রয়েছেন। মিনা ট্র্যাজেডির পরপরই সৌদি আরব ঘোষণা করেছিল, ওই ঘটনায় ৭৭০ জন হাজির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রায় সাত হাজার হাজি নিহত হলেও সৌদি সরকার এখন পর্যন্ত সঠিক সংখ্যা ঘোষণা করেনি এবং ক্ষমাও চায়নি।

এছাড়া মিনা ট্র্যাজেডির মাত্র কয়েক দিন আগেই মক্কার মসজিদুল হারামের ওপর ক্রেন ভেঙে পড়ায় বেশ কয়েক জন ইরানিসহ শতাধিক হজযাত্রী প্রাণ হারায়। আহত হয় আরও দুই শতাধিক হাজি। গত সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হজবাণীতে ওই দুই ঘটনার জন্য সৌদি শাসকদের দায়ী করেছেন। সৌদি আরব নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না দেয়ায় ইরানি হাজিরা এ বছর হজে যেতে পারেন নি।#

পার্সটুডে/সোহেল আহম্মেদ/১২