সৌদি আচরণে সত্যিকার পরিবর্তন আসে নি: ইরান
-
আলী শামখানি
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, সৌদি আরবের আচরণ ও নীতিতে সত্যিকারের কোনো পরিবর্তন আসে নি। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার বিষয়ে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়েরের সাম্প্রতিক ইরাক সফরের বিষয়ে ইরানের অবস্থান সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আলী শামখানি এ কথা বলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সৌদি আরব তার চলার পথ ঠিক করতে পারে নি। শামখানি বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় এমন যেকোনো দেশ বিশেষ করে সৌদি আরব যদি তাদের অতীতের ধ্বংসাত্মক তৎপরতা থেকে ফিরে আসে এবং ভুল সংশোধন করে তাহলে ইরান অবশ্যই তাকে ইতিবাচক বিষয় বলেই মনে করে। কিন্তু এই দেশটির আচরণে প্রকৃত কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।”
গত শনিবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের অনেকটা নজিরবিহীনভাবে ইরাক সফর করেন এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদি তাকে স্বাগত জানান। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পর এটাই ছিল সৌদি আরবের পক্ষ থেকে উঁচু পর্যায়ের কোনো মন্ত্রীর প্রথম সফর। পরে এবাদির দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়-“নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিশেষ করে দায়েশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে দু পক্ষ আলোচনা করেছে।”
আলী শামখানি বলেন, ইরাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি ও লালন করা এবং তাকফিরি সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অপূরণীয় ক্ষতি সাধনে সৌদি আরব যে ভূমিকা রেখেছে কেউ তা অস্বীকার করতে পারবে না। সৌদি আরবের তৈরি করা তাকফিরি সন্ত্রাসীরা আঞ্চলিক দেশগুলোতে বিশেষ করে ইরাক ও সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
সিরিয়া ও ইরাকে তৎপর সন্ত্রাসীদের চলমান তাণ্ডবের পেছনে সৌদি আরব একনিষ্ঠভাবে অস্ত্র ও অর্থ যুগিয়ে সমর্থন দিয়ে আসছে। এর বিপরীতে দেশ দুটিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর সহযোগিতা দিয়ে আসছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র।#
পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/২৭