ইরানের ‘গোলেস্তান ন্যাশনাল পার্ক’: বন্যপ্রাণীর একটি অনন্য আবাসস্থল
-
গোলেস্তান ন্যাশনাল পার্ক
ইরানের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক পার্ক হচ্ছে ‘গোলেস্তান ন্যাশনাল পার্ক’। গোলেস্তান প্রদেশের পূর্ব প্রান্তে এবং উত্তর খোরাসান প্রদেশের পশ্চিমে এর অবস্থান। একে গোলেস্তান জঙ্গলও বলা হয়। এটি একটি সংরক্ষিত এলাকা।

পশুপাখির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত এ পার্কে ১৩৫০ ধরনের উদ্ভিদ এবং ৩০২ ধরনের জীবজন্তু রয়েছে। ৯০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ পার্কে রয়েছে অসংখ্য খাল, নদী ও ঝর্ণা। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইরানের মোট উদ্ভিদের আট ভাগের এক ভাগ, মোট পাখির এক-তৃতীয়াংশ এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রায় অর্ধেকের বাস এই জঙ্গলে।

চিতাবাঘ ও ভল্লুকের মতো হিংস্র জন্তু রয়েছে এই পার্কে। বিশালকায় আয়তন, ভৌগোলিক অবস্থান এবং বড় শহরগুলো থেকে দূরে হওয়ার কারণে এই পার্কের বেশীরভাগ এলাকা অক্ষত রয়ে গেছে।

গোলেস্তান পার্ক বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন জাতীয় পার্ক। এটি ১৯৩০ সালে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় শীর্ষ ৫০টি বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে একটি হিসেবে তালিকাভূক্ত হয়।

গোলেস্তান বনে চিতাবাঘ, ব্রাউন ভাল্লুক, শৃগাল, পার্সিয়ান আইবেক্স, নেকড়ে, বন্য বিড়াল, ক্যাস্পিয়ান লাল হরিণ, বন্য শুয়োর, গেজেল, পাহাড়ি ছাগল, শিয়াল এবং কোয়েট ইত্যাদি বন্যপ্রাণী বসবাস করে। অন্যদিকে, বৃক্ষরাজির মধ্যে আলমা জাফরান, পারসিয়ান আয়রনউড ইত্যাদি অনন্য প্রজাতির উদ্ভিদ দেখা যায় পার্কটিতে।

অতীতে এশীয় চিতা বসবাস করতো মিরজাবাইলু সমতল অঞ্চলে। তবে সর্বশেষ এই অঞ্চলে চিতা দেখা গেছে কমপক্ষে ৪০ বছর আগে। অবশ্য ২০১৪ সালের অক্টোবর সমতল অঞ্চলটিতে একটি চিতার দেখা মিলেছে। কিন্তু কেউ তার ছবি তুলতে পারেনি। গোলেস্তান ন্যাশনাল পার্কের আবহাওয়া আদ্র থেকে আধা শুষ্ক পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়ে থাকে। #
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।