ইরানের কাজভিন প্রদেশের নজরকাড়া কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i81781-ইরানের_কাজভিন_প্রদেশের_নজরকাড়া_কিছু_ঐতিহাসিক_স্থাপনা
ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কাজভিন প্রদেশে রয়েছে অসংখ্য মসজিদসহ ঐতিহাসিক স্থাপনা। এখানে রয়েছে হোসাইনিয়া, রয়েছে প্রাচীন জামে মসজিদ, চেহেল সুতুন প্রাসাদসহ আরও অনেক স্থাপনা। মোটকথা কাজভিন শহরের যেদিকেই তাকানো যাবে দেখা যাবে মিনারের পর মিনার। যেন মিনারের শহর কাজভিন।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
জুলাই ২৭, ২০২০ ১৩:৪৫ Asia/Dhaka
  • কাজভিন জামে মসজিদের গম্বুজ
    কাজভিন জামে মসজিদের গম্বুজ

ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কাজভিন প্রদেশে রয়েছে অসংখ্য মসজিদসহ ঐতিহাসিক স্থাপনা। এখানে রয়েছে হোসাইনিয়া, রয়েছে প্রাচীন জামে মসজিদ, চেহেল সুতুন প্রাসাদসহ আরও অনেক স্থাপনা। মোটকথা কাজভিন শহরের যেদিকেই তাকানো যাবে দেখা যাবে মিনারের পর মিনার। যেন মিনারের শহর কাজভিন।

চেহেল সুতুন প্রাসাদ

মিনারের সাথে আছে গম্বুজ, বিরাট বিরাট গম্বুজ। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় কাজভিনে রয়েছে অসংখ্য মসজিদ। মসজিদের প্রাচুর্য দেখে মনে হয় এখানকার এমন কোনো স্থান নেই যে স্থান মুমিন মানুষের উপস্থিতি বা পাদচারণায় ধন্য হয় নি। কাজভিনের জামে মসজিদ বা কাবির মসজিদের দিকে তাকালেই দৃষ্টি অর্থবহ হয়ে ওঠে। অসম্ভব সুন্দর এই মসজিদটি। কাজভিন শহরের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ এটি। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এই মসজিদ প্রাচীনত্ব এবং নির্মাণ শৈলীগত দিক থেকে ইরানের মধ্যে একেবারেই বিরল।

ইমামযাদা হোসাইনের মাযার

কাজভিন জামে মসজিদ বা মাসজিদে কাবিরের সবচেয়ে প্রাচীন অংশটি কে নির্মাণ করেছিলেন তা নিয়ে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। কোনো কোনো ঐতিহাসিক বলেছেন ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের হাতে হিজরি ১০০ সনে ওই অংশটি নির্মিত হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন ১৯২ হিজরিতে হারুনুর রশিদের হাতে নির্মিত হয়েছে কাবির মসজিদের প্রাচীনতম অংশটি। অবশ্য বর্তমানে হারুনুর রশিদের নামেই ‘ত্বা’কে হারুনি’ নামে তা প্রসিদ্ধ। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও নিদর্শন বিশেষজ্ঞদের মতে কাজভিন জামে মসজিদে ঐতিহাসিক বহু লিপিকর্ম রয়েছে। এইসব লিপিকর্ম সেখানকার কারুকার্যে বা নকশাগুলোতে কবিতা আকারে কিংবা বর্ণনায় উঠে এসেছে।

কাজভিন বাজার

নবী করিম (সা) এর বংশধর ইমামযাদা হোসাইনের মাযার কাজভিন শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। মাযার ভবনের যে স্থাপত্যশৈলী তা আলাদা বৈশিষ্ট্যময়। টাইলসের কারুকাজ, কাঁচের কারুকাজ এক কথায় চোখ ধাঁধানো। দেশি বিদেশি পর্যটক সবাই এইসব কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে যান, আকৃষ্ট হয়ে যান।

কাজভিন বাজার আরেকটি প্রাচীন স্থাপনা। এই বাজারের নির্মাণশৈলীও দেখার মতো। এই বাজারের ঐতিহাসিক মূল্য যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে সাংস্কৃতিক মূল্যও। ইসলাম-পূর্বকালে নির্মাণ করা হয়েছিল এই বাজারটি। দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় এই স্থাপনা এই কাজভিন বাজার।

কাজভিনের ঐতিহাসিক এসব স্থাপনা আলাদা বৈশিষ্ট্যময়। অধিকাংশ স্থাপনায় টাইলসের কারুকাজ, কাঁচের কারুকাজ রয়েছে। এককথায় এসব চোখ ধাঁধানো। দেশি-বিদেশি পর্যটক সবাই এসব দেখে মুগ্ধ হন। কাজভিনের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোও তেমনিরূপে ইরানের সাংস্কৃতিক ভিন্নতার প্রমাণ।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।