'রেডিও তেহরানে আমার ইন্টারভিউ প্রচারিত হলে রীতিমতো শিহরিত হয়েছিলাম'
https://parstoday.ir/bn/news/letter-i121216-'রেডিও_তেহরানে_আমার_ইন্টারভিউ_প্রচারিত_হলে_রীতিমতো_শিহরিত_হয়েছিলাম'
মহোদয়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আমার অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। যদিও আমি আপনাদের একজন অনেক পুরোনো শ্রোতা এবং এখনও নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনে থাকি, তবে সবসময় চিঠি লেখা হয়ে ওঠে না। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ ছাড়া কিছু করার নেই। 
(last modified 2025-10-08T09:10:00+00:00 )
মার্চ ২৮, ২০২৩ ১৮:২৯ Asia/Dhaka
  • 'রেডিও তেহরানে আমার ইন্টারভিউ প্রচারিত হলে রীতিমতো শিহরিত হয়েছিলাম'

মহোদয়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আমার অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। যদিও আমি আপনাদের একজন অনেক পুরোনো শ্রোতা এবং এখনও নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনে থাকি, তবে সবসময় চিঠি লেখা হয়ে ওঠে না। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ ছাড়া কিছু করার নেই। 

বাস্তবিক পক্ষে আমি একজন রেডিও ডিএক্সার। এই চৌষট্টি বছর বয়সেও দিনের একটা বড় অংশ কাটাই রেডিও নিয়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেতার অনুষ্ঠান শোনার চেষ্টা করি। তাদের কাছে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠাই, কিউএসএল সংগ্রহ করি। 

রেডিও তেহরানের সাথে আমার যোগাযোগ হয় অনেক বছর আগে- সেই আশির দশকে। ইংরেজি বিভাগে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠিয়ে ছিলাম, কিউএসএলও পেয়েছি। সবচেয়ে বিস্মিত হয়েছিলাম যেদিন দুপুর বেলা হঠাৎ ফোন এল রেডিও তেহরান থেকে। আমি তখন আমার স্কুল ডিউটিতে। কথা হলো- একটা ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য। সময় নির্দিষ্ট হলো। পরে নির্ধারিত সময়ে আমাদের আলোচনা হয়েছিল ফোনের মাধ্যমে। সে ইন্টারভিউ অনুষ্ঠানে প্রচারিত হলে রীতিমতো শিহরিত হয়েছিলাম। 

যাই হোক, বাংলা অনুষ্ঠান থেকেও অনেক বই, ম্যাগাজিন পেয়েছি সেসব দিনে। আজকাল চিঠিও কম লিখি, তাই উপহার সামগ্রী পাওয়ার আশাও করি না। অনুষ্ঠান শুনি। বিশেষ ভালো লাগে খবর, কথাবার্তা, প্রিয়জন, আলাপন, রংধনুর মতো অনুষ্ঠানগুলি। 

আবারও রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে উত্তরের অপেক্ষায় থেকে চিঠির ইতি টানছি। 

 

প্রদীপ চন্দ্র কুন্ডু

ভট্টপুকুর নিবেদিতা সংঘ, 

পোস্ট: অরুন্ধতী নগর, আগরতলা, ত্রিপুরা, ভারত। 

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৮