ক্ষুদ্রাকৃতির চুল্লি তৈরি নিয়ে তেহরান-মস্কো আলোচনা
-
মোহাম্মদ ইসলামি এবং নিকোলাই স্পাস্কির সাক্ষাৎ
পার্সটুডে-রাশিয়ার রোসাটম কোম্পানির একটি প্রতিনিধিদল ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছে। সাক্ষাতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্রাকৃতির চুল্লি তৈরি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় হয়েছে।
সেদা ও সিমা সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশন "রোসাটম"-এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পরিচালক নিকোলাই স্পাস্কির নেতৃত্বে রাশিয়ার একটি প্রতিনিধিদল বুধবার তেহরান ভ্রমণ করেছে। ক্ষুদ্রাকৃতির চুল্লির ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ ১২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চুল্লি নির্মাণ এবং পারমাণবিক বিভিন্ন বিষয়ে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছে।
গত সপ্তায় ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান মোহাম্মদ ইসলামির রাশিয়া সফর এবং সে দেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে তাদের বৈঠকের পর ক্ষুদ্র-স্কেল রিঅ্যাক্টর (SMRs) এবং ইরান-হরমোজ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ক্ষেত্রে দুটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ওই চুক্তির মধ্যে রয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের চারটি ১,২৫০ মেগাওয়াট রিঅ্যাক্টর। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার এই প্রকল্পগুলোর একটি বিশেষ কৌশলগত ও অর্থনৈতিক অবস্থান রয়েছে।
এই চুক্তিগুলোর পরে রোসাটমের একটি প্রতিনিধিদল ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র-স্কেল রিঅ্যাক্টর এবং ১,২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চুল্লিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিবর্গ। নতুন চুক্তিগুলো যৌথ সহযোগিতাসহ উন্নত রিঅ্যাক্টর ডিজাইন এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের পথ প্রশস্ত করবে।
সফরকালে স্প্যাস্কি মোহাম্মদ ইসলামির সাথেও দেখা করেন। পারমাণবিক ক্ষেত্রে বর্তমান সহযোগিতা পর্যালোচনা করার সময়, উভয় পক্ষ যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। এছাড়াও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রোসাটম স্টেট কর্পোরেশনের সিইও আলেক্সি লিখাচেভ অদূর ভবিষ্যতে ইরান সফর করবেন যাতে তিনি চুক্তিবদ্ধ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ এবং ৩ ইউনিটের নির্মাণকাজের অগ্রগতিও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়ার সংষদ দুমায় নুমোদিত হওয়ার পর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি কার্যকর হয়েছে। এই চুক্তি অনুসারে কৌশলগত ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক এবং দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। চুক্তির ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদটি বিশেষভাবে পারমাণবিক চুল্লির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক। এই অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে দুই দেশ তাদের কৌশলগত সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে পারমাণবিক প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য একটি ব্যাপক কর্মসূচি অনুসরণ করবে।#
পার্সটুডে/এনএম/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।