সামরিক চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর সীমান্তে সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন জোরদার করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী আজ (সোমবার) এ তথ্য জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর আগেভাগে ও আকস্মিকভাবে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। গত দেড় বছরে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্রুজ এবং পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার পর আমেরিকা এ ধরনের পরিকল্পনা করছে।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-তে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি-বিরোধী প্রস্তাব পাসের পর এই সংস্থাকে আমেরিকার পেইড এজেন্ট বলে মন্তব্য করেছে। দেশটি বলেছে, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের উস্কানিমূলক কোনো কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করবে না।
রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার ‘অন্যায় ও আপত্তিকর শত্রুতার’ তীব্র সমালোচনা করেছে পিয়ংইয়ং। দেশটি বলেছে, এই শত্রুতা প্রমাণ করে ওয়াশিংটন এখনও শীতল যুদ্ধের সময়কার আধিপত্যবাদী মানসিকতা পোষণ করে।
উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু ডকট্রিন ও পরমাণু শক্তির মর্যাদা বাড়ানোর জন্য সংবিধান সংশোধন করেছে। এই পদক্ষেপের পেছনে আমেরিকার উসকানি রয়েছে বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।
কোরীয় উপত্যকা ‘একটি অত্যাসন্ন পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকিতে’ রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘে দেশটির নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কিম সং মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের শেষদিনে ভাষণ দিতে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
রাশিয়া সফর শেষ করেছেন উত্তর কোরিয়া নেতা কিম জং উন। এ সফরের সময় তিনি রাশিয়া থেকে ড্রোন এবং বুলেটপ্রুফ বডি আর্মর নিয়েছেন।
রাশিয়া সফররত উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন রুশ নির্মিত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দেখেছেন। এসব যুদ্ধ সরঞ্জামের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম কৌশলগত বোমারু বিমানও ছিল।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ঘোষণা করেছেন যে, আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়া এবং দেশটির জনগণের সংকটকালে পিয়ংইয়ং সবসময় মস্কোর পাশে থাকবে। মস্কোয় এক দুর্লভ সফরে গিয়ে তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়া তার প্রথম টেকনিক্যাল নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন উদ্বোধন করেছে। পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে হামলা চালাতে সক্ষম সাবমেরিনটি কোরীয় উপদ্বীপ এবং জাপানের মধ্যকার সমুদ্রসীমায় টহল দেবে।