দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিরুদ্ধে তুরস্কের জনগণের ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বছরে ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি ডলারের ইস্পাত রপ্তানি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এজন্য দেশটি অভ্যন্তরীণভাবে ইস্পাতের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
ইস্পাত উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এখন সপ্তম অবস্থানে উঠে এসেছে। দেশটি নভেম্বর মাসে ২৯ লাখ মেট্রিক টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান থেকে গত ছয় মাসে যে পরিমাণ স্টিল রপ্তানি করা হয়েছে তার শতকরা ২১.৭ ভাগ কিনে নিয়েছে প্রতিবেশী ইরাক। ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত মাইনিং অ্যান্ড মেটালস হোল্ডিং এই তথ্য জানিয়েছে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্রী ইরানের খুজেস্তান স্টিল কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন ইব্রাহিমি বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠান একটি বড় রকমের সাইবার হামলা প্রতিহত করেছে। গতকাল (সোমবার) তিনি জানান, দেশের কৌশলগত এই শিল্পখাত লক্ষ্য করে শত্রুরা সাইবার হামলা চালিয়েছিল।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে উৎপাদিত ইস্পাত বিশ্বের ৫৯টি দেশ রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্যে গত ফারসি বছরে চীন একাই কিনেছে এক-তৃতীয়াংশ ইস্পাত।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তার দেশের বিরুদ্ধে আমেরিকার ওষুধ ও অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা এখন আর আলোচনায় বসার পূর্বশর্ত নয় বরং একটি অলঙ্ঘনীয় বাস্তবতা। আলোচনা হোক বা না হোক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান গত বছরের আট মাসে প্রতিবেশী ইরাক, তুরস্ক এবং আফগানিস্তানে প্রায় দেড়শ কোটি ডলারের খনিজদ্রব্য ও ইস্পাত রপ্তানি করেছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ইস্পাত উৎপাদনের পরিমাণ সারা বিশ্বের গড় উৎপাদনের চেয়ে ২০ গুণ বেড়েছে। বিশ্ব ইস্পাত এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজ (বুধবার) এক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান থেকে জানুয়ারি মাসে ইস্পাত রপ্তানি শতকরা ৯৩ ভাগ বেড়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার পক্ষ থেকে অবৈধভাবে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সত্ত্বেও ইরানের ইস্পাত রপ্তানি বাড়লো।