এক ইনজেকশনেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে দেখার অতি-ক্ষমতা পাবে চোখ!
-
'নিশি নয়নে' দেখা রাতের দৃশ্য
গবেষণাগারের পরীক্ষায় দেখা গেছে একটি মাত্র ইনজেকশন দেয়ার পর ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যেও চোখে দেখার ক্ষমতা পাচ্ছে ইঁদুর। ভবিষ্যতে মানুষও হয়ত এমন সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে বলে এর ভিত্তিতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
‘নাইট ভিশন’ বা ‘নিশি নয়ন’ ব্যবহার করে ঘুটঘুটে অন্ধকারেও দেখা সম্ভব। সে কথা আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু একটি মাত্র ইনজেকশন দেয়ার পর চোখে নিজেই ‘নিশি নয়ন’ হয়ে উঠবে। অন্ধকারে দেখার সক্ষমতা অর্জন করবে! সত্যিই অভাবনীয়। কিন্তু ‘সেল’ নামের বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকীতে এমন অভাবনীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছেন চীনা বিজ্ঞান একাডেমিসহ কয়েকটি গবেষণা সংস্থার গবেষেক দল। এ দলে রয়েছেন ইউকিয়ান মা, জিন বাও, ইউয়ান ওয়েঝাওসহ কয়েকজন ।

ইনজেকশন দেয়ার পর ইঁদুরের চোখে ন্যানোপ্রযুক্তি কাজ শুরু করে দেয়। অতি দুর্বল আলোকে বৈদ্যুতিক বৈভব বা ইলেক্ট্রিক্যাল চার্জে রূপান্তর ঘটায়। রেটিনা বা অক্ষিপটের কোষরাজির সঙ্গে কাজ করে এমনটা করা হয়।
এর মাধ্যমে আলোকে সবুজ কম্পাংকে রূপান্তর করা হয়। ‘নাইট ভিশন’ বা ‘নিশি নয়ন’ চোখে লাগানোর পর যেমন অন্ধকারে সব কিছু সবুজাভ দেখি এরফলে একই দৃশ্যও দেখতে সক্ষম হয় পরীক্ষাগারের ইঁদুর। একটি মাত্র ইনজেকশনের ক্রিয়া ইঁদুরের শরীরে টানা ১০ সপ্তাহ বজায় ছিল। এতে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়াও দেখা যায় নি।
সত্যিই যদি ইনজেকশন দিয়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারে দেখার সক্ষমতা মানুষ অর্জন করতে পারে – তখন কেমন হবে! শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত যে ‘আঁধারের রূপ’ প্রত্যক্ষ করেছিলেন তা কি চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে! মানুষের তৈরি আলোর দূষণে যেমন আজ প্রায় হারাতে বসেছে তারাভরা আকাশ।
পার্সটুডে/মূসা রেজা/৩
খবরসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব লেখা ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং নোটিফিকেশনের জন্য লাইক দিন