লেবানন অভিমুখী ইরানি জ্বালানী তেলের বহরে বিমান হামলা
-
আজ (বুধবার) ভোররাতে চালানো ওই হামলার ধরন ও হতাহত সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী খবর পাওয়া গেছে
লেবানন অভিমুখী ইরানি জ্বালানী তেলের ট্যাংকারের একটি বহরে বিমান হামলা হয়েছে। ইরাকি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইরাক-সিরিয়া সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ওই হামলা হয়।
লেবানন অভিমুখী ইরানি জ্বালানী তেলের ট্যাংকারের একটি বহরে বিমান হামলা হয়েছে। ইরাকি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইরাক-সিরিয়া সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ২২টি ট্যাংকারের বহরটিতে ওই হামলা হয়।
আইআরআইবির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, একটি মার্কিন ড্রোন থেকে বহরের দুইটি ট্যাংকারের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। হামলার সময় ইরাকের আল-কায়েম ক্রসিং অতিক্রম করে আটটি ট্যাংকার সিরিয়ায় প্রবেশ করেছিল।
ইরাক ও সিরিয়া হয়ে ট্যাংকারের বহরটির লেবাননে প্রবেশের কথা ছিল। আজ (বুধবার) সকালে চালানো ওই হামলার ধরন ও হতাহত সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী খবর পাওয়া গেছে। ইরানি কর্মকর্তারা এখনও ওই ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

এর আগে ইরাকি সূত্রগুলো জানিয়েছিল, সিরিয়ার সঙ্গে দেশটির আল-কায়েম সীমান্তের কাছে অন্তত চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলার সময় এই এলাকার আকাশে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের শব্দ শোনা যায়। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র বলেছে, ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অবস্থানে ড্রোন হামলার একই সময়ে জ্বালানী বহরে হামলা হয়েছে।
একজন ইরাকি মুখপাত্র বলেন, ইরানি তেল ট্যাংকারগুলো বাগদাদ ও দামেস্কের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী সম্পূর্ণ বৈধভাবে লেবাননে তেল নিয়ে যাচ্ছিল।
গত বছর থেকে ইরাক ও সিরিয়া হয়ে স্থলপথে লেবাননে তেল রপ্তানি শুরু করে ইরান। লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ দেশটির জ্বালানী সংকট নিরসনে ইরানের সাহায্য চাওয়ার পর থেকে বৈরুতের সাহায্যে এগিয়ে যায়।#
পার্সটুডে/এমএমআই/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।