হিজবুল্লাহ কি দুর্বল হয়ে পড়েছে? শেখ নাঈম কাসিমের সাম্প্রতিক বক্তৃতার বিশ্লেষণ
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i148670-হিজবুল্লাহ_কি_দুর্বল_হয়ে_পড়েছে_শেখ_নাঈম_কাসিমের_সাম্প্রতিক_বক্তৃতার_বিশ্লেষণ
পার্সটুডে - আরব বিশ্বের একজন প্রখ্যাত বিশ্লেষক বলেছেন, হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা করে লেবাননের হিজবুল্লাহ মহাসচিব সম্প্রতি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ফের এই সংগঠনকে পুনর্গঠিত করা এবং হিজবুল্লাহর তরুণ সহসী যোদ্ধাদের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছেন যারা তেলআবিবের কেন্দ্রস্থলকে টার্গেট করবে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
এপ্রিল ২০, ২০২৫ ২১:০০ Asia/Dhaka
  • • বিশিষ্ট আরব বিশ্লেষক আবদেল বারী আতাওয়ান
    • বিশিষ্ট আরব বিশ্লেষক আবদেল বারী আতাওয়ান

পার্সটুডে - আরব বিশ্বের একজন প্রখ্যাত বিশ্লেষক বলেছেন, হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা করে লেবাননের হিজবুল্লাহ মহাসচিব সম্প্রতি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি ফের এই সংগঠনকে পুনর্গঠিত করা এবং হিজবুল্লাহর তরুণ সহসী যোদ্ধাদের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছেন যারা তেলআবিবের কেন্দ্রস্থলকে টার্গেট করবে।

দৈনিক রাই আল-ইয়াওম পত্রিকার এক নিবন্ধে, বিশিষ্ট আরব বিশ্লেষক আব্দুল-বারী আতাওয়ান লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাইম কাসেমের সাম্প্রতিক বক্তৃতাকে বিশ্লেষণ করেছেন। পার্সটুডে জানিয়েছে, শহীদ হাসান নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হওয়ার পর শেখ নাঈম কাসেমের সবচেয়ে সংবেদনশীল বক্তব্যগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত এই ভাষণে হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণে ব্যর্থতা এবং ইসরাইলি আক্রমণের জবাব দেওয়ার প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। হিজবুল্লাহ নেতা আরও ঘোষণা করেন যে প্রতিরোধের অস্ত্র হল লেবাননের সার্বভৌমত্বের রক্ষক এবং দখলকৃত ভূমির মুক্তিদাতা এবং এটি কখনই পরিত্যাগ করা হবে না।

ইসরাইলের লক্ষ্য সম্পর্কে

শেখ নাঈম কাসেমকে উদ্ধৃত করে আতাওয়ান লিখেছেন যে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বসতি স্থাপনের জন্য লেবাননের ভূমিতে তার দখল সম্প্রসারিত করতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা হত্যা এবং গণহত্যার মাধ্যমে পশ্চিম তীর এবং গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বহিষ্কার করতে চায়। হিজবুল্লাহ নেতা ইসরাইলের বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের (২,৭০০ বারেরও বেশি) সমালোচনা করেছেন এবং দখলদারদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ফের যুদ্ধের ময়দানে ফিরে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।

তরুণদের বিচক্ষণতা এবং তাদের সাহসি অভিযান

হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, নাসরুল্লাহ এবং জ্যেষ্ঠ কমান্ডারদের শাহাদাতের পর, একজন তরুণ ও সাহসি সামরিক কমাণ্ডারের উত্থানের পর, হিজবুল্লাহ আন্দোলন তার শক্তি ফিরে পেয়েছে। এই নতুন কমাণ্ডার "বিগ সানডে" অপারেশন পরিচালনা করে, যা তেল আবিব, হাইফা এবং একরকে নির্ভুলভাবে পরিচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় এবং ইসরাইলের ৮২০০ ইউনিটের গোয়েন্দা ঘাঁটির ক্ষতি করে। এই আক্রমণের ফলে ত্রিশ লক্ষ বসতি স্থাপনকারী নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বাধ্য হয় এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমোস হোচস্টেইনকে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে বাধ্য করে।

সামরিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং আঞ্চলিক সমন্বয়

আতাওয়ান জোর দিয়ে বলেন যে, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহর মতো হিজবুল্লাহও কেবল বিদেশী অস্ত্রের উপর নয় বরং দেশীয় সামরিক শক্তির উপর নির্ভর করে। হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের মধ্যে সামরিক সমন্বয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে এবং অস্ত্র সরবরাহের জন্য বিকল্প পথ রয়েছে। তিনি নাঈম কাসেমকে উপহাস করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের  দেয়া বক্তব্যকে এই অঞ্চল সম্পর্কে ওয়াশিংটনের অজ্ঞতার দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন।

আসন্ন সংঘাতের সম্ভাবনা

আতাওয়ানের মতে, শেখ নাঈম কাসেমের ভাষণ তেলআবিবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জবাব দেয়ার জন্য হিজবুল্লাহর প্রস্তুতির লক্ষণ। ইসরাইলি আক্রমণ এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ফলে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অস্ত্র ধারণ আরও প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে যা ইসরাইলের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। #

পার্সটুডে/এমআরএইচ/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।