গাজা, লেবানন ও ইরানে ইসরায়েলের কৌশলগত ব্যর্থতা

পার্সটুডে- যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত পত্রিকা ফরেন অ্যাফেয়ার্স পশ্চিম এশিয়ায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কৌশলগত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতা তুলে ধরেছে। পার্সটুডে'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সাময়িকী ফরেন অ্যাফেয়ার্স গাজা যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বলেছে, ইহুদিবাদী ইসরায়েল সামরিকভাবে শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও অঞ্চলটিতে কাঙ্ক্ষিত স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে এবং আরব দেশগুলোর বিশ্বাস অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

গাজা ও লেবাননে ব্যর্থতা

ফরেন অ্যাফেয়ার্স লিখেছে, ইহুদিবাদী ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার পর প্রতিরোধ জোটের বিরুদ্ধে একাধিক সামরিক অভিযান চালায়। গাজায় বিস্তৃত হামলা, লেবানন ও সিরিয়ায় প্রতিরোধ কমান্ডারদের হত্যা এমনকি ইরানের সামরিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ সত্ত্বেও কোনো কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। হামাস গাজায় সক্রিয় রয়েছে, হিজবুল্লাহ অস্ত্রত্যাগ করতে অস্বীকার করেছে এবং ইরান প্রতিরোধ জোটের ঐক্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।

আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পরিবর্তন

মার্কিন সাময়িকী ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছে, পারস্য উপসাগরের আরব দেশগুলো ইসরায়েলকে নিজেদের স্বার্থ নিশ্চিতকারী বলে মনে করে না এবং ইরানের সঙ্গে সংঘাতের বদলে তেহরানের সঙ্গে মৈত্রী গড়ে তুলছে। হামাসের সঙ্গে আলোচনার সময় কাতারে একটি ভবনে ইসরায়েলের হামলাও তেল আবিবের আঞ্চলিক প্রভাব হ্রাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল। এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।

ইসরায়েলের আধিপত্য হ্রাস

ফরেন অ্যাফেয়ার্স লিখেছে, ইসরায়েল আগে নিজেকে এই অঞ্চলের একক বড় শক্তি হিসেবে মনে করত, এখন তার প্রভাব ও বৈধতা হ্রাস পাচ্ছে। গাজা ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা এবং লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে উৎখাতের হুমকি বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলের অবস্থান দুর্বল করে দিয়েছে, এমনকি এখন আবর দেশগুলোও ইসরায়েলকে হুমকি বলে মনে করছে।

পত্রিকাটি আরও লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অবাধ সমর্থন ছাড়া ইসরায়েলের সামরিক প্রাধান্যও টিকবে না।

প্রস্তাবিত সমাধান: শান্তি ও ফিলিস্তিনি সরকার

প্রতিবেদনের শেষাংশে ফরেন অ্যাফেয়ার্স লিখেছে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো স্বাধীন ফিলিস্তিনি সরকার প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন বন্ধ। দখলদার ইসরায়েলের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি তা গোটা অঞ্চলে ও বিশ্বে ইসরায়েলকে আগের চেয়ে আরও বেশি একঘরে করেছে।#

পার্সটুডে/এসএ/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।