ইসরায়েল গাজায় লেবাননের মডেল বাস্তবায়ন করতে চাইছে
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i154390-ইসরায়েল_গাজায়_লেবাননের_মডেল_বাস্তবায়ন_করতে_চাইছে
পার্সটুডে- সোমবার একটি ইসরায়েলি সংবাদপত্র এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় "লেবাননের মডেল" বাস্তবায়ন করতে চাইছে।
(last modified 2025-11-25T15:03:09+00:00 )
নভেম্বর ২৫, ২০২৫ ১৬:১১ Asia/Dhaka
  • •	ইসরায়েল গাজায় লেবাননের মডেল বাস্তবায়ন করতে চাইছে
    • ইসরায়েল গাজায় লেবাননের মডেল বাস্তবায়ন করতে চাইছে

পার্সটুডে- সোমবার একটি ইসরায়েলি সংবাদপত্র এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় "লেবাননের মডেল" বাস্তবায়ন করতে চাইছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহারনোত এক প্রতিবেদনে ঘোষণা করেছে: যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের বাস্তবায়নের জন্য একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল গাজায় লেবাননের মডেল বাস্তবায়ন করতে চাইছে, কারণ আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের ফলে হামাসের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যেকোনো সামরিক প্রতিক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এখন গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের আগে স্থলভাগে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে যাতে তাদের কর্মকাণ্ডের আরও স্বাধীনতা থাকে।

ইয়েদিওথ আহারনোত এই বিষয়ে লিখেছে: যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের জন্য মার্কিন চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু ইসরায়েল এই প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে দাবি করছে যে হামাস তিনজন যুদ্ধবন্দীর মৃতদেহ ফেরত দেয়নি।

হামাস এখন পর্যন্ত ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে এবং আরও ২৭ জন জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে গাজার পরিস্থিতি সহজ করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়া হবে তার মধ্যে রয়েছে, রাফা ক্রসিং খোলা, আরো মানবিক সহায়তা প্রেরণ, এলাকায় চলাচলের অনুমতি দেওয়া এবং ওই এলাকা পরিচালনা করতে সক্ষম একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে।

ইয়েদিওথ আহারনোত আরও জোর দিয়ে বলেছে যে ইসরায়েল গাজার ফিলিস্তিনিরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে এবং পুনর্গঠন করতে না পারে সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

২০২৫ সালের অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অনবরত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। তাদের হামলায় আরো শত শত ফিলিস্তিনি নিহত এবং এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে। এদিকে, গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।