পশ্চিমাদের সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের ব্যাপারে হুঁশিয়ার করলো রাশিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/world-i109052-পশ্চিমাদের_সঙ্গে_সরাসরি_সামরিক_সংঘর্ষের_ব্যাপারে_হুঁশিয়ার_করলো_রাশিয়া
রাশিয়া পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে: তাদের অবকাঠামোতে সাইবার-হামলা সরাসরি সামরিক সংঘাত ডেকে আনতে পারে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে: তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। আমেরিকা এবং ইউক্রেনের হ্যাকার গ্রুপগুলো এই হামলার জন্য দায়ী।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
জুন ১০, ২০২২ ১৮:০৫ Asia/Dhaka

রাশিয়া পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে: তাদের অবকাঠামোতে সাইবার-হামলা সরাসরি সামরিক সংঘাত ডেকে আনতে পারে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে: তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। আমেরিকা এবং ইউক্রেনের হ্যাকার গ্রুপগুলো এই হামলার জন্য দায়ী।

বিবৃতিতে আর বলা হয়েছে, রাশিয়া ওই সাইবার হামলার পাল্টা জবাব না দিয়ে ছাড়বে না। তবে তাদের সকল পদক্ষেপ রাশিয়ার আইন এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নেয়া হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মস্কো সতর্ক করে বলেছে যে সাইবার-স্পেসে রাশিয়াকে চ্যালেঞ্জ করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমারা শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড যেভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে তা পাশ্চাত্যের সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘাতের ঘন্টি বাজিয়ে দিতে পারে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে রাশিয়া। পশ্চিমারা ইউক্রেনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা পাঠিয়ে এখন রাশিয়ার সাথে সাইবার যুদ্ধে নেমেছে। রাশিয়ার কৌশলগত বিভিন্ন কেন্দ্রের সার্ভার হ্যাক করে তথ্য চুরির মধ্য দিয়ে এই সাইবার যুদ্ধ শুরু করা হয়েছে। এর আগেও রুশ কর্মকর্তারা বলেছিল যে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমারা একটি প্রক্সি যুদ্ধে নেমেছে। ইউক্রেনকে ঘিরে চলমান এই যুদ্ধ সরাসরি যুদ্ধে পরিণত হতে পারে।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বিশেষ অভিযানের সূচনা থেকেই রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠানসহ সংবাদ সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইটেও সাইবার হামলা হয়েছে।

গত রোববার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার পর এবং ওয়েবসাইটে ‘লং লিভ ইউক্রেন’ বার্তা প্রচার করার পর মস্কো ওই সতর্কতা জারি করলো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মে মাসে বলেছিলেন: বিদেশী "রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো" রাশিয়ার ওপর সাইবার-হামলা বহুগুণ বাড়িয়েছে। ওই আক্রমণের ঝুঁকি কমাতে রুশ প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনি নিজেদের আইটি সুরক্ষা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন। পশ্চিমারা সাইবার-স্পেসের সামরিকীকরণ করে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।  এর ফলে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের ঝুঁকি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

পশ্চিমাদের এই পদক্ষেপের জবাব না দিয়ে দিয়ে ছাড়বে না রাশিয়া। মস্কো এখন ইউক্রেনসহ তাদের পৃষ্ঠপোষক দেশগুলির বিরুদ্ধে কী ধরনের দ্বি-ধারী তলোয়ারসুলভ সাইবার হামলা চালায় সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।#

পার্সটুডে/এনএম/১০