ঋষি সুনাককে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দিলেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস
https://parstoday.ir/bn/news/world-i114954-ঋষি_সুনাককে_আনুষ্ঠানিকভাবে_নিয়োগ_দিলেন_ব্রিটিশ_রাজা_তৃতীয়_চার্লস
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে আজ (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দিয়েছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। বাকিংহ্যাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন ঋষি।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
অক্টোবর ২৫, ২০২২ ১৮:৩৪ Asia/Dhaka
  • ‌ঋষি সুনাক
    ‌ঋষি সুনাক

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে আজ (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দিয়েছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। বাকিংহ্যাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন ঋষি।

এরপর তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৪২ বছর বয়সী ঋষি যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী। গত দুই শতকের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রীও তিনি। তাছাড়া প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ও প্রথম এশিয়ান-ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তিনি।

এর আগে নিয়ম অনুযায়ী রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন লিজ ট্রাস। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাজা চার্লস। এরপরই বাকিংহ্যাম প্যালেসে আসেন ঋষি সুনাক।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে আজ (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দিয়েছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস

এর আগে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হন। যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের নেতাই প্রধানমন্ত্রী হন। গত বৃহস্পতিবার লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করার পর কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও হাউস অব কমন্সের স্পিকার পেনি মরডান্ট এই নির্বাচনে ঋষি সুনাকের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তারা দুজনই আজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী ঋষি সুনাক বরিস জনসন সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। করোনার বিধিনিষেধ লংঘনসহ কয়েকটি ঘটনায় সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন বরিস জনসন। এরপর তার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

দলীয় নেতা নির্বাচনের চূড়ান্ত ধাপে এসে লিজ ট্রাসের কাছে হেরে যান ঋষি সুনাক। তবে লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেসব অর্থনৈতিক নীতি নেন, তাতে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামলে নিতে না পেরে তিনিও বিদায় নেন।#

পার্সটুডে/এসএ/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।