বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের দিকে ফিরে আসছে ইউরোপ : মার্কিন ওয়েবসাইট
পার্সটুডে: একটি আমেরিকান ওয়েবসাইটটি লিখেছে, ইউরোপের দেশগুলো তাদের জ্বালানি শক্তির স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের দিকে ফিরে আসছে।
ডেনমার্ক সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের জ্বালানি নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন এনে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের ওপর ৪০ বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। স্পেনও তার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের পর্যালোচনাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং জার্মানি পারমাণবিক শক্তির দীর্ঘস্থায়ী বিরোধিতা ত্যাগ করেছে।
পার্সটুডে অনুসারে, "সিএনবিসি" নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইট একটি প্রতিবেদনে লিখেছে, দেশগুলো জ্বালানি স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা করার সাথে সাথে ইউরোপ জুড়ে একটি ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে যার ফলে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহারে দ্রুত প্রত্যাবর্তন ঘটেছে।
ইউরোপীয় দেশগুলোর পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের প্রতি নতুন আগ্রহ দেখায় যে তারা জ্বালানি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। মনে হচ্ছে এই পদক্ষেপের অন্তত একটি অংশ নবায়নযোগ্য শক্তির সাথে সম্পর্কিত খরচের কারণে যার মধ্যে রয়েছে "সৌর এবং বায়ু প্রযুক্তি"।
ব্রাসেলস-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ব্রুগেলের একজন সিনিয়র ফেলো জর্জ জ্যাকম্যান বলেছেন যে পারমাণবিক শক্তি ইউরোপে সবচেয়ে বিতর্কিত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তি হিসাবে রয়ে গেছে। জর্জ জ্যাকম্যান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ ভারসাম্য রক্ষা এবং স্থানান্তরের "গোপন খরচ", বায়ু ও সৌরশক্তি উৎপাদনের অংশ বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে এবং এটি সম্প্রতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
পারমাণবিক শক্তির সমর্থকরা এখন যুক্তি দিচ্ছেন যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করার পাশাপাশি দেশগুলোকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়তা করার ক্ষেত্রে পারমাণবিক শক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর তাদের নির্ভরতা হ্রাস করার সম্ভাবনা রয়েছে।তবে, কিছু পরিবেশগত গোষ্ঠী বলেছে যে পারমাণবিক শিল্প ব্যয়বহুল এবং সস্তা, পরিষ্কার বিকল্পগুলোর জন্য ক্ষতিকারক।#
পার্সটুডে/এমবিএ/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।