সাংবাদিকতা যখন অপরাধের সেবায়; ইসরায়েলের সাথে নিউ ইয়র্ক টাইমসের যোগসাজশ
https://parstoday.ir/bn/news/world-i150614-সাংবাদিকতা_যখন_অপরাধের_সেবায়_ইসরায়েলের_সাথে_নিউ_ইয়র্ক_টাইমসের_যোগসাজশ
পার্সটুডে - একটি তথ্যচিত্র প্রতিবেদনের লেখক এবং মিডিয়া কর্মীদের একটি দল, ইসরায়েলের সাথে নিউ ইয়র্ক টাইমসের গোপন যোগসাজশ এবং ইসরায়েলি লবিদের সাথে ওই সংবাদপত্রের কিছু সাংবাদিকের আর্থিক ও ব্যক্তিগত গোপন সম্পর্কের বিষয়টি ফাঁস করে দিয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ২৩, ২০২৫ ১৮:১৫ Asia/Dhaka
  • • শিশু-হত্যাকারী ইসরায়েলের সাথে নিউ ইয়র্ক টাইমসের যোগসাজশ নিয়ে কেলেঙ্কারী
    • শিশু-হত্যাকারী ইসরায়েলের সাথে নিউ ইয়র্ক টাইমসের যোগসাজশ নিয়ে কেলেঙ্কারী

পার্সটুডে - একটি তথ্যচিত্র প্রতিবেদনের লেখক এবং মিডিয়া কর্মীদের একটি দল, ইসরায়েলের সাথে নিউ ইয়র্ক টাইমসের গোপন যোগসাজশ এবং ইসরায়েলি লবিদের সাথে ওই সংবাদপত্রের কিছু সাংবাদিকের আর্থিক ও ব্যক্তিগত গোপন সম্পর্কের বিষয়টি ফাঁস করে দিয়েছে।

ফার্স নিউজ এজেন্সির উদ্ধৃতি দিয়ে পার্স টুডে জানিয়েছে , এই অনুসন্ধানি দলটি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে গাজায় গণহত্যার সহযোগী এবং ইসরায়েলি অপরাধকে ন্যায্যতা দেওয়ার হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরেছেন।

এই তথ্যচিত্র প্রতিবেদনের লেখক এবং মিডিয়া কর্মীদের দল আরও বলেছে যে নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্রের বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক, সম্পাদক এবং সিনিয়র পরিচালকদের ইসরায়েলপন্থী লবিদের সাথে ব্যাপক সংযোগ রয়েছে।

"গাজায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে লেখক" গোষ্ঠীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে: নিউ ইয়র্ক টাইমস গাজা উপত্যকায় গণহত্যার সহযোগী এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে।

অন্যান্য মূলধারার গণমাধ্যমের মতো, নিউ ইয়র্ক টাইমস গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধের কভারেজের ক্ষেত্রে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষক এই মিডিয়াকে ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধ করার পথ সহজ  করে দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

এই লেখক এবং মিডিয়া কর্মীদের নথিপত্র থেকে প্রমাণিত হয় যে নিউ ইয়র্ক টাইমসের কভারেজটি ইসরায়েলি সরকার বা সামরিক বাহিনীর সাথে মিডিয়ার কিছু বর্তমান এবং সাবেক কর্মচারীর ব্যাপক আর্থিক, বস্তুগত এবং আদর্শিক ও যোগাযোগ সম্পর্ক রয়েছে।

এই নথিপত্রে ইসরায়েলপন্থী লবিং গ্রুপ এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সাথে সম্পর্কসহ অন্যান্য স্তরের আদর্শিক এবং বস্তুগত সম্পর্কের অভিযোগও আনা হয়েছে।

এতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকরা তাদের লেখক ও সাংবাদিকদেরকে ইসরাইলের "গণহত্যা," "জাতিগত নির্মূল" এবং "দখলিকৃত অঞ্চল" এর মতো "উস্কানিমূলক" শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে এবং এমনকি "ফিলিস্তিন" শব্দটিও উল্লেখ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে গঠিত লেখকদের গ্রুপও বলেছে যে তাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস কিভাবে দ্বৈত নীতি অনুসরণ করছে। তারা গাজায় যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে "নিউ ইয়র্ক যুদ্ধাপরাধ" হিসাবে উল্লেখ করেছে।#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।