মিশরীয় জনগণকে আহ্বান: "রাফার দেয়াল ভেঙে ফেলো!"
https://parstoday.ir/bn/news/world-i150940-মিশরীয়_জনগণকে_আহ্বান_রাফার_দেয়াল_ভেঙে_ফেলো!
পার্সটুডে - ফিলিস্তিনি ইস্যুতে দুইজন বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অধিকার কর্মী "হাতে হাত রেখে রাফা পর্যন্ত" শীর্ষক বিশ্বব্যাপী প্রচারণাকে সমর্থন করেছেন।
(last modified 2025-08-07T11:15:31+00:00 )
আগস্ট ০৫, ২০২৫ ১৮:১৫ Asia/Dhaka
  • ডানে- মিরিয়ম চারাবাতি এবং বামে- শারলোত কিতস; ফিলিস্তিনি ইস্যুতে দুই আন্তর্জাতিক অধিকার কর্মী
    ডানে- মিরিয়ম চারাবাতি এবং বামে- শারলোত কিতস; ফিলিস্তিনি ইস্যুতে দুই আন্তর্জাতিক অধিকার কর্মী

পার্সটুডে - ফিলিস্তিনি ইস্যুতে দুইজন বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অধিকার কর্মী "হাতে হাত রেখে রাফা পর্যন্ত" শীর্ষক বিশ্বব্যাপী প্রচারণাকে সমর্থন করেছেন।

"হাতে হাত রেখে রাফা পর্যন্ত" শীর্ষক বিশ্বব্যাপী প্রচারণাটি মূলত: ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন এবং গাজার জনগণের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাফাহর ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিতে মিশরীয়দের প্রচেষ্টা শুরুর আহ্বান জানিয়ে বিশ্বব্যাপী একটি আন্দোলন। পার্সটুডে অনুসারে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে দুই বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক কর্মী "মিরিয়াম চারাবাতি" এবং " শারলোত কিতস " "হাতে হাত রেখে রাফা পর্যন্ত" শীর্ষক বিশ্বব্যাপী প্রচারণার সমর্থনে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছেন। এই বিবৃতিতে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে এই দুই মানবাধিকার কর্মী, বাইশ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় চলমান গণহত্যার কথা উল্লেখ করে, মিশরীয় জনগণকে রাফাহর উপর চাপিয়ে দেয়া অবরোধের প্রাচীর ভেঙে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা আরো বলেছেন: আমরা এখানে, হাতে হাত রেখে, মিশরে আমাদের ভাইবোনদের বলতে এসেছি: "রাফার দেয়াল ভেঙে ফেলো!" এটি কেবল একটি অনুরোধ নয়, যদি রাফার দেয়াল ভেঙে ফেলতে পার, তাহলে মুক্তির পথ খুলে যাবে।

বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে: যদি মিশর সরকার উগ্র তাকফিরি শক্তি এবং দেশের অভ্যন্তরে অনুচরদের ভয়ে ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে না পারে, তাহলে প্রশ্ন হল: "কায়রোর স্বাধীনতা কোথায়?" যখন প্রতিবেশী আরব জাতি, ফিলিস্তিনি জাতি ইসরাইলের প্রতি নতজানু মিশরের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারছে না, তখন এটি কোন ধরণের কূটনীতি?

এই দুই ফিলিস্তিনি মানবাধিকার কর্মী, ২০০৯ সালের শুরুতে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য মিশরীয় সরকারকে রাফা সীমান্ত খোলার পরামর্শ দিয়ে মিশরীয় জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন: এই কাজটি কঠিন এবং আমরা এটাও জানি যে এর জন্য মূল্য দিতে হবে। যদি আপনারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তাহলে আপনারা এবং আমরা একসাথে থাকবো। কিন্তু যদি আপনারা কোনো তৎপরতা না চালান তাহলে আপনারাই অপমাণিত হবেন। কারণ এই পৃথিবীতে এখনও এমন মানুষও আছে যারা ত্যাগের বিনিময়ে হলেও অপমান মেনে নেবে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন সংকটের ব্যাপারে সত্য বুঝতে পেরেছে, ইসরায়েল তার আগ্রাসন ও শোষণ অব্যাহত রাখতে আমাদের নির্মূল করতে চায়।

মিরিয়ম চারাবাতি এবং শারলোত কিতস, এই অঞ্চলের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অপরাধের  খবর প্রকাশে গাজার সাংবাদিকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেছেন: ফিলিস্তিন একটি জাতি, তাদের একটি পরিচয় রয়েছে এবং এখানে তাদের জীবন বহমান।

বিবৃতির শেষে, রাফাহ অবরোধ ভেঙে এই দেশের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য মিশরীয় জনগণের আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে: যখন আমি মিশরের দিকে তাকাই, আমরা বিশ্বাস করি যে এর জনগণের পরিবর্তনের ক্ষমতা রয়েছে। কিছু জাতি ইতিমধ্যেই ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথে রয়েছে এবং তারা এমনকি মানবতা ভূলুণ্ঠিত হতে দেখেও মুখে কলুপ এঁটে বসে আছে। #

পার্সটুডে/এমআরএইচ/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।