ইউরোপ কি ধূসর অঞ্চলে বসবাসের জন্য প্রস্তুত?
https://parstoday.ir/bn/news/world-i152566-ইউরোপ_কি_ধূসর_অঞ্চলে_বসবাসের_জন্য_প্রস্তুত
পার্সটুডে- জার্মান চ্যান্সেলর ইউরোপের আকাশে ড্রোন প্রবেশের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের এই সবুজ মহাদেশকে "যুদ্ধ ও শান্তির মাঝখানের ধূসর অঞ্চল" হিসেবে অভিহিত করেছেন।
(last modified 2025-10-27T13:35:51+00:00 )
অক্টোবর ০১, ২০২৫ ২০:০৮ Asia/Dhaka
  • ফ্রিডরিখ মের্টজ
    ফ্রিডরিখ মের্টজ

পার্সটুডে- জার্মান চ্যান্সেলর ইউরোপের আকাশে ড্রোন প্রবেশের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের এই সবুজ মহাদেশকে "যুদ্ধ ও শান্তির মাঝখানের ধূসর অঞ্চল" হিসেবে অভিহিত করেছেন।

পার্সটুডে জানাচ্ছে- জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্টজ বলেছেন, "আমরা যুদ্ধে নেই, কিন্তু আমরা শান্তিতেও নেই।" এই কথাগুলো বিস্ময়কর মনে হতে পারে, কিন্তু এটিই ইউরোপের আজকের প্রকৃত অবস্থা। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে আইন ভিত্তিক নিয়ম ও ব্যবস্থার পরিবর্তে বল প্রয়োগের নীতির দিকে ঝুঁকে পড়া হচ্ছে। ইউরোপ বল প্রয়োগের যুক্তির মাধ্যমে ইরানের ওপর যা চাপিয়ে দিতে চায়, এ কারণেই তারা ইরানের বিরুদ্ধে স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম চালু করেছে।

ইউরোপীয় বৈদেশিক সম্পর্ক কাউন্সিল (ইসিএফআর)সহ অনেক থিঙ্ক ট্যাঙ্কের মতে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্টজের বক্তব্য শীতল যুদ্ধের পর "শান্তিপূর্ণ ইউরোপ" গড়ার স্বপ্নের ব্যর্থতার স্পষ্ট স্বীকারোক্তি। যে মহাদেশটি একসময় নিজেকে উদারপন্থী ব্যবস্থার মডেল হিসেবে তুলে ধরত, এখন সেই মহাদেশ হঠাৎ করেই এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে যার পেছনে রয়েছে বহির্শক্তির হাত।

মের্টজ সতর্ক করে বলেন, যেসব ঘটনা ঘটছে তা উদ্বেগজনক। ডেনমার্ক এবং জার্মানির শ্লেসভিগ-হলষ্টাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে অজ্ঞাত ড্রোন উড়ানের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এই ড্রোনগুলো সশস্ত্র নয়, এগুলো নজরদারি প্রযুক্তিতে সজ্জিত এবং এগুলোর ডানা আট মিটার পর্যন্ত। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো রাশিয়া থেকে পাঠানো হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর স্বীকার করেছেন, এই ধরণের হুমকি মোকাবেলা করা সহজ নয়, কারণ নিরস্ত্র ড্রোনগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করলে অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক ও সামরিক পরিণতি হতে পারে। হাইব্রিড যুদ্ধের এই হলো সমস্যা: শত্রু সবচেয়ে কম খরচে অন্য পক্ষের উপর সবচেয়ে অনিশ্চয়তা এবং মানসিক চাপ চাপিয়ে দেয়।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইউরোপ সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনটা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিভাজন ক্রমশ বাড়ছে।#

পার্সটুডে/এসএ/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।