ব্রিটিশ রাজনীতিবিদেরা পুরোনো মডেলের বেড়াজালে আটকে গেছে: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
https://parstoday.ir/bn/news/world-i154714-ব্রিটিশ_রাজনীতিবিদেরা_পুরোনো_মডেলের_বেড়াজালে_আটকে_গেছে_ব্রিটিশ_বিশ্লেষক
পার্সটুডে- ব্রিটিশ বিশ্লেষক রাফায়েল বেয়ার স্বীকার করেছেন, তার দেশের রাজনীতিবিদেরা পুরোনো ও জীর্ণ মডেলের ফাঁদে আটকে গেছেন। তারা সেটারই পুনরাবৃত্তি করছেন।
(last modified 2025-12-04T10:11:57+00:00 )
ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫ ১৬:০৫ Asia/Dhaka
  • রাফায়েল বেয়ার
    রাফায়েল বেয়ার

পার্সটুডে- ব্রিটিশ বিশ্লেষক রাফায়েল বেয়ার স্বীকার করেছেন, তার দেশের রাজনীতিবিদেরা পুরোনো ও জীর্ণ মডেলের ফাঁদে আটকে গেছেন। তারা সেটারই পুনরাবৃত্তি করছেন।

ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী র‍্যাচেল রিভস সম্প্রতি দেশের বাজেট ঘোষণা করার পর দাবি করেছেন, ঋণ গ্রহণের খরচ কমেছে, কারণ তিনি ঋণকে নিয়ন্ত্রণে আনছেন। তিনি আরও দাবি করেন, জনগণ জানে সরকারের আর্থিক পরিস্থিতি চাপে রয়েছে এবং সামাজিক ব্যয়ের জন্য কর বৃদ্ধি তিনি মেনে নেবেন না।

পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ বিশ্লেষক রাফায়েল বেয়ার গার্ডিয়ান পত্রিকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে জোর দিয়ে বলেছেন, ব্রিটেনের রাজনীতিবিদরা পুরোনো মডেল নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন।

ব্রিটেনে পুরোনো রাজনৈতিক ধাঁচের পুনরুত্থান

ব্রিটিশ লেখকের মতে, ব্রিটেনের রাজনৈতিক পরিবেশ স্পষ্টভাবেই কল্পনার স্থবিরতায় ভুগছে। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং অর্থমন্ত্রী র‍্যাচেল রিভসের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘পরিবর্তন’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু বাস্তবে অতীতের মডেল থেকে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেনি।

বাজেট ঘোষণা অর্থনৈতিক সমস্যা

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন- ব্রিটেনের সাম্প্রতিক বাজেট, যা আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টির স্লোগান নিয়ে উপস্থাপিত হয়েছিল, তার সঙ্গে আগের বাজেটের মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। উভয় ক্ষেত্রেই সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকার এড়িয়ে গিয়ে কর বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছে, যা অর্থনৈতিক অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নতুন ও সাহসী সমাধান দিতে ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেয়।

এই বিশ্লেষকের মতে, র‍্যাচেল রিভস নিরাপত্তা বিষয়ক অর্থনীতি নামের একটি ধারণার কথা বলতেন, যেখানে সরকার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সম্পদের পুনর্বণ্টনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু বাস্তবে তার বাজেটগুলো সেই ধারণার ক্ষীণ ছায়া হিসেবে থেকে যাচ্ছে, প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সাহস ও সম্পদ দুটোরই অভাব রয়েছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দুর্বল কূটনৈতিক কৌশল

বিশ্লেষণের শেষে বলা হয়েছে, লন্ডনের মেয়রের দাওয়াতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তৃতা থেকে বোঝা যায় যে, সরকার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনকে নিয়ে কাজ করতে চান। কিন্তু এই শক্তিগুলোর পারস্পরিক টানাপোড়েন কিংবা ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নিরাপত্তা-নির্ভরতার ঝুঁকি তারা সঠিকভাবে পর্যালোচনা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।#

পার্সটুডে/এসএ/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।